Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নারায়ণগঞ্জে নদী ভরাটের জব্দকৃত বালু নিলামে বিক্রি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৯, ০৩:৩৪ PM
আপডেট: ২৩ মে ২০১৯, ০৩:৩৪ PM

bdmorning Image Preview


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া এলাকায় মেঘনা নদী ভরাট করে গড়ে তোলা আব্দুল আমান গ্রুপের নির্মানাধীন ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কতৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা এগারোটায় নির্বাহি ম্যাজজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এবং নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ন-পরিচালক গুলজার আলীর তত্ত্বাবধানে মেঘনা নদীতে চতুর্থ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালায় সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এসময় আমান গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আমান ইকোনোমিক জোনের নির্মানাধীন ওই শিল্প কারখানার নামে নদী দখল করে ১শ' ফুট প্রশস্ত ও ছয় হাজার বর্গফুট দৈর্ঘ্যের জায়গা দখলমুক্ত করতে ভেকু দিয়ে খনন কাজ শুরু করা হয়। একই সাথে নদী ভরাটের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান বালু নিলামে তুলে ৯৬ লক্ষ ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়।

এর পাশাপাশি নদীর তীরে আমান গ্রুপের বাঁশের বেড়ার সীমানাও ভেংগে ফেলে বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ। নদী ভরাট ও দখলের অভিযোগে আমান গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নাদিরুজ্জামান ও নির্বাহি পরিচালক (কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স) রবিউল হককে আটক করে বিআইডব্লিউটিএ'র ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিআইডব্লিউটিএ'র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ন-পরিচালক জানান, নদী দপ্তরের অনুমোদন থাকলেও এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি সরকারি আদেশ ভংগ করে নদীর নির্ধারিত জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মান সহ নদীর বিরাট অংশ ভরাট করে ফেলেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, নদী দখল করে স্থাপনা নির্মানকারী বসুন্ধরা গ্রুপ, মেঘনা ফ্রেশ গ্রুপ সহ আরো বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হবে।

গুলজার আলী আরো বলেন, গত শুক্রবার নদী কমিশনের চেয়ারম্যান বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিন মেঘনা নদী পরিদর্শন করে মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, আমান ইকোনোমিক জোন, ইউনিক গ্রুপ, আল মোস্তফা গ্রুপের পলিমার ইন্ড্রাষ্ট্রিজসহ বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে নদী দখলের প্রমান পেয়েছেন। তারই আলোকে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ'র নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদীর নির্ধারিত সসীমানার অভ্যন্তরে যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে নদী দখল করেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মেঘনা নদীতে আরো দুই দিন অভিযান চালিয়ে ছয়দিন ব্যাপী এই উচ্ছেদ অভিযান সমাপ্ত করা হবে।

এর আগে গতকাল বুধবার বৈদ্যেরবাজার এলাকায় নদী দখল করে জাহাজ নির্মান শিল্প সম্প্রসারণ করায় ইউনিক গ্রুপের প্রায় ৭ লক্ষ বর্গফুট ভরাট বালু জব্দ করে নিলামে তুলে ২৯ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত।

Bootstrap Image Preview