চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড ও বন্দর টিলার কাঁচাবাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (২২ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব অভিযানের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদর সার্কেল মো. ইসমাইল হোসেন। এসময় বিএসটিআই ও ক্যাব এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে ওজনে কম দেওয়ার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৬ ধারায় বনফুল কোম্পানীর শাখার স্বত্বাধিকারী মজিবুর রহমানের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং একই অপরাধে সিজল কোম্পানীর শাখার স্বত্বাধিকারী মো. জামাল উদ্দীনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তাছাড়া পচা, বাসি খাবার সংরক্ষণ ও ওজনে কম দেওয়ার অপরাধে ফুলকলি কোম্পানীর শাখার স্বত্বাধীকারী মো: মিজানুর রহমানকে দিতে হয়েছে ২০ হাজার টাকা জরিমানা।
বন্দর টিলা কাঁচা বাজার ও ইপিজেড বাজারে নিত্য প্রয়োজনী দ্রব্যমূল্য মনিটরিং করার লক্ষ্যে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বাজারের ৪টি মুদি দোকানকে ৫ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ বিধান মতে এবং হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ৫২টি পণ্য বিক্রির উদ্দ্যেশে সংরক্ষণ রাখায় এসব মুদি দোকানীকে সতর্ক করে দিয়ে জরিমানা করা হয়। তাছাড়া পঁচা খেজুর বিক্রির অপরাধে ফল দোকানি মো. ছোহান ও মো. বেলালকে ৩ হাজার টাকা করে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসেন জানান, অসাধু ভেজাল ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়িদের মূল্য তালিকা প্রদর্শন এবং হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ৫২টি পণ্য সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিক-ই-নুরের নের্তৃত্বে পৃথক অপর একটি টিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নগরীর মোঘলটুলি বাজারে। সকালে পরিচালিত অভিযানে বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও মূল্য তালিকা না থাকায় এবং বাটখারা ওজনে কম দেওয়ায় দুটি মুরগীর দোকানকে ৭ হাজার টাকা এবং একজন মাছ বিক্রেতাকে ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বিস্কুট উৎপাদনের জন্য ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয় মাস্টার বেকারীকে।