গাজীপুরের কালীগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ২টি কারখানা ও ১টি ইট ভাটা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (২২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিক এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জুবের আলম।
জানা গেছে, কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে কেটুন এলাকায় অবৈধ ভাবে ফুয়েল কারখানা ২টি গড়ে তুলে। যেখানে জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পরিবেশের ক্ষতি করে টায়ার পুড়িয়ে তৈরী করা হচ্ছিল এক প্রকার ফুয়েল (তেল) ও কালী।
খবর পেয়ে সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক্সটিম পাইরোলাইসিস ফুয়েল এন্ড প্রাইভেট লিমিটেড ও গ্যালান্ট এনার্জি লিমিটেড কারখানায় অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় কারখানায় দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ১২ ধারায় ওই ২ কারখানার প্রত্যেকটিকে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করে।
অপরদিকে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার এমএসএম নামে একটি ইটভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভরাট স্থাপনা নির্মাণ আইনে ২০১৩ এ ৪ ও ১৪ ধারা মোতাবেক ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। অভিযানে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ফুয়েল উৎপাদন করা ওই ২ কারখানার পরিবেশের ছাড়পত্র ও ইট ভাটার জেলা প্রশাসনের অনুমতিপত্র না থাকায় সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিবলী সাদিক জানান, সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান হয়। তবে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও ভোক্তা অধিকার আইনে ভেজাল বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।