Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বালিশ ইস্যুতে এই ছবিটি কেন ভাইরাল হলো?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৯, ১০:৩২ PM
আপডেট: ২১ মে ২০১৯, ১০:৩২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পাবনায় নির্মাণাধীন মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত গ্রিনসিটিতে আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে লাগামছাড়া দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এরই জেরে আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছবিটি রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমের। যার পরিকল্পনায় প্রকল্পে একটি বালিশ কেনার মূল্য ৬ হাজার ৭১৭ টাকা আবার সেই বালিশ নিচ থেকে ফ্ল্যাটে ওঠাতে ৭৬০ টাকা খরচ দেখানোসহ নানা দুর্নীতির তথ্য ইতোমধ্যেই মানুষের দ্বারপ্রান্তের পৌঁছে গেছে।

ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষ মাসুদুল আলমের ছবি শেয়ার করে তার প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করছেন। অনেকেই এই ব্যক্তির ছবি ভাইরাল করে তার মতো দুর্নীতিবাজের মুখোশ সমাজের সকলের কাছে উন্মোচনের আহ্বানও জানিয়েছেন।

সরকারি কোষাগারের টাকায় আকাশচুম্বী দামে এসব আসবাবপত্র কেনার পর তা ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে তুলতে অস্বাভাবিক হারে অর্থ ব্যয়ের এ ঘটনা ঘটিয়েছেন গণপূর্ত অধিদফতরের পাবনা গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা, যাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন মাসুদুল আলম। অস্বাভাবিক এই খরচের হিসাবে দেখা গেছে, শুধুমাত্র আসবাবপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে ওঠাতে ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ হাজার ২৯২ টাকা।

এছাড়া প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা দরে ১১০টি খাট কিনতে খরচ হয়েছে ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার ২৭০ টাকা। খাটগুলোর প্রত্যেকটি ফ্ল্যাটে নিতে খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা। একেকটি সোফা কেনা হয়েছে ৭৪ হাজার ৫০৯ টাকা, ভবনে ওঠাতে খরচ হয়েছে ২৪ হাজার ২৪৪ টাকা করে। ১৪ হাজার ৫৬১ টাকা দরে কেনা সেন্টার টেবিলের প্রত্যেকটি ভবনে তুলতে লেগেছে ২ হাজার ৪৮৯ টাকা।

এদিকে অস্বাভাবিক এ খরচ তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে উল্লেখ করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদফতর থেকে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে পৃথক এ কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব প্রকার বিল বন্ধ রাখার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview