Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধুনটে নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা

রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৯, ০৫:১৭ PM
আপডেট: ২১ মে ২০১৯, ০৫:১৭ PM

bdmorning Image Preview


বগুড়ার ধুনট থানার এক নারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রোজিনা খাতুনকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম নামে এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

রফিকুল ইসলাম নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরে পুলিশ সদস্য পদে কর্মরত আছেন। নিহত রোজিনা খাতুন নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নেন। প্রশিক্ষণ শেষে ২০০৮ সালে একই এলাকার আবদুল লতিফ মোল্লার ছেলে হাসান আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রোজিনার স্বামী সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক। রোজিনা-হাসান দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

রোজিনা খাতুন এএসআই পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ধুনট থানায় যোগ দেন। ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ধুনট থানা ভবনের পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন রোজিনা। আর স্বামী হাসান আলী চাকরির সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

এদিকে রোজিনার প্রথম কর্মস্থল চাপাইনবাবগঞ্জ সদরে চাকরির সুবাদে সহকর্মী রফিকুল ইসলামের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র থেকে দুই সহকর্মীর মাঝে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রোজিনা বিয়ের পরও রফিকুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যায়। এবিষয়টি নিয়ে মা, বাবা ও স্বামীর সাথে রোজিনার প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। 

পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে ধুনটের ভাড়া বাসায় বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে রোজিনা। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত ১১টার  রোজিনা মারা যায়।

রোজিনাকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার বাবা নান্নু মিয়া বাদী হয়ে ২৭ মার্চ পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বগুড়া আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্ত মামলা তদন্তে বিলম্ব হওয়ায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশায় রয়েছেন নিহতের পরিবার।  

রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলামের কারণেই আমার মেয়ে রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছি। মামলাটি ধুনট থানা পুলিশ তদন্ত করছেন। তবে মামলা তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ঢিলেমি করছে। এতে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছি। 

এ ঘটনার বক্তব্য নিতে পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, মামলাটি তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে। 

 

Bootstrap Image Preview