Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

৩ সেতু তৈরির পর উল্টো ৯৬০ কোটি টাকা ফেরত দিচ্ছে জাপানিরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ মে ২০১৯, ০৬:১৯ PM
আপডেট: ২০ মে ২০১৯, ০৬:১৯ PM

bdmorning Image Preview


দীর্ঘ দুই যুগ পর বাংলাদেশে ঘটলো বিরল ঘটনা। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্মিত হয়েছিল সেতু। ২০১৯ সালে এসে নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই শেষ হচ্ছে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণ কাজ। মূল চুক্তির প্রায় ১ মাস আগে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে এই তিন সেতু নির্মাণকারী জাপানি প্রতিষ্ঠান।

অন্যদিকে এই তিনটি সেতু নির্মাণে বরাদ্দের চেয়ে কম অর্থ খরচে কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর মেঘনা ও গোমতীর মেয়াদ ছিল জুন-জুলাই ২০১৯ সাল পর্যন্ত। কিন্তু গুলশানে হলি আর্টিজান হামলার ঘটনার কারণে নির্মাণ কাজ ছয় মাস বন্ধ ছিল। তাই নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শেষ করতে ছয় মাস অতিরিক্ত সময় চেয়েছিল। কিন্তু সেই ছয় মাস সময় তারা নেয়নি বরং মূল চুক্তির প্রায় ১ মাস আগে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

তিনি আরো বলেন, এর আগে ১৯৯১ ও ১৯৯৫ সালে নির্ধারিত সময়ের আগে পুরাতন মেঘনা ও গোমতী সেতুর কাজ শেষ করা হয়েছিল। সে কাজগুলোও নিয়েছিল জাপানের কোম্পানিরা। ১৯৯৫ সালের পর এবারের কৃতিত্বটাও তাদেরই। শুধু তাই নয়, বরাদ্দকৃত অর্থের চেয়েও কম খরচ করেছেন তারা। এই প্রকল্প থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তিন সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৮ হাজার ৪৮৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে মেঘনা দ্বিতীয় সেতুর জন্য বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার মধ্যে এই সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করেছে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো।

অন্যদিকে, গোমতী সেতুর জন্য দেয়া বরাদ্দ ২ হাজার ৪১০ কোটি টাকা থেকে ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকায় কাজ শেষ করেছে তারা।

এ ছাড়া কাঁচপুর সেতুর জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তবে এই প্রকল্প শেষ করতে কত ব্যয় হয়েছে তা এখনও জানায়নি সেতু কর্তৃপক্ষ। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত ৯৬০ কোটি টাকা নিশ্চিত সাশ্রয় হয়েছে।

এসব টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাবে কিনা সে বিষয়ে নুরুজ্জামান বলেন, নতুন ও পুরাতন সেতুগুলো সংস্কার কাজ সম্পন্নের পরই সে বিষয়ে জানা যাবে।

Bootstrap Image Preview