কুড়িগ্রাম জেলা শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় শিশু শ্রমিকের সাইকেল আটকে রেখে ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন এক ট্রাফিক পুলিশ। ১৯ মে রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আনুমানিক ১৪ বছর বয়সী ওই শ্রমিকের নাম মোরশেদ। সে কুড়িগ্রামের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের শুনান দিঘি গ্রামের বাসিন্দা। সে ইউনিয়নের আদর্শ পৌর বাজারে রিসাত স্টোরে কাজ করে। অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলের নাম বিকাশ চন্দ্র।
ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার মোরশেদের সাইকেলের ধাক্কায় পুলিশের মোটরসাইকেলের ইন্ডিকেটর লাইট ও ব্রেক লিভার কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় সাইকেল আটকে রেখে তার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নেই সেই পুলিশ সদস্য।
শিশু মোরশেদ জানায়, সাইকেলে করে দোকান মালিকের বাড়ি থেকে দোকানে যাচ্ছিলাম। শাপলা চত্বর এলাকায় আমার সাইকেলের চেইন পড়ে যায় ও আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড় করানো পুলিশের মোটরসাইকেলে ওপর সাইকেল নিয়ে পড়ে যাই।
মোরশেদ আক্ষেপ করে আরও জানায়, এ ঘটনায় পুলিশ আমার সাইকেল আটকে রেখে টাকা নিয়ে আসতে বলে বা নতুন ইন্ডিকেটর লাইট ও ব্রেক লিভার কিনে আনতে বলে।
কিন্তু সে সময় টাকা না থাকায় দোকান থেকে ২০০ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলের ইন্ডিকেটর লাইট ও ব্রেক লিভার কিনে পুলিশকে দিই। এরপরই তিনি আমার সাইকেলটা ছেড়ে দেন।
এখণ হাতে টাকা নেই এ কথা ওই পুলিশ সদস্যকে বলার পরও তিনি মানতে চাননি বলে জানায় শিশু মোরশেদ।
অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল বিকাশ চন্দ্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মোটরসাইকেলটি আমার ছিল না, তাই শিশুটিকে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পার্টস কিনে নিয়েছি। আমার মোটরসাইকেল হলে নিতাম না।’