Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

দরজা বন্ধ করে পুলিশ সদস্য আমার সাথে খারাপ কাজ করেছে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ মে ২০১৯, ০৩:১৯ PM
আপডেট: ২০ মে ২০১৯, ০৩:৩৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


মাদারীপুর পৌরসভার টিবি ক্লিনিক সড়কে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মোক্তার হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যের (কনস্টেবল) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত ওই স্কুলছাত্রীকে রবিবার রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ কনস্টেবল মোক্তারের স্ত্রীর গর্ভবতী হওয়ার কারণে কিছুদিন গ্রামের বাড়ি চলে যায়। এই সুযোগে মাদারীপুর পুলিশ লাইনের পুলিশ কনস্টেবলে মোক্তার হোসেন টিবি ক্লিনিক সড়কের তাঁর ভাড়া বাসাতে প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।  

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। আর বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান মেয়েটির পা ভেঙ্গে গিয়েছে।

নির্যাতিত স্কুলছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ঘরে দরজা বন্ধ করে পুলিশ সদস্যে আমার সাথে খারাপ কাজ করেছে । এসময় তিনি আমাকে লাঠি দিয়েও পিটিয়েছে। পরে বাইরে থেকে স্থানীয়রা দরজা বন্ধ করে দিলে তিনি আমাকে ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে ফেলে দেন।

এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘক্ষণ ঘরের মধ্যে ওই মেয়েকে নিয়ে থাকায় আমাদের সন্দেহ হয় । পরে আমরা বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলে তিনি মেয়েটিকে ফেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেন। এতে মেয়েটি গুরুতর আহত হয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. লেলিন জানান, ‘মেয়েটি হাড় ভেঙে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সেরে উঠতে কমপক্ষে আরো ৩ মাস সময় লাগবে।’

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে শুধু শুধু স্থানীয়রা ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। ওই মেয়ে সাথে আমার কিছু হয়নি। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে আপনি পুলিশ সুপার বা ওসির সাহায্য নেননি কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Bootstrap Image Preview