দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সুমাইয়া খাতুন (১৩) নামে এক অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ হত্যার পিছনের মূল গল্পটা কি তা এখনো কেউই বলতে পারছেন না। তবে ধারনা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে।
রবিবার (১৯ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নলেয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুমাইয়া খাতুন উপজেলার হলাইজানা গ্রামের আবু সাইদের মেয়ে এবং নলেয়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ার হাবেজা বেগমের নাতি বলে জানা গেছে। সে নানীর বাড়িতে থেকেই পড়াশুনা করতো।
সুমাইয়ার সহপাঠীরা জানান, সুমাইয়াকে নিয়ে আমরা প্রতিদিন প্রাইভেট পড়তে যেতাম। প্রতিদিনের মতো আজও তাকে ডাকতে এসে তাকে গালায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ঘরের ধর্নার সাথে ঝুলে থাকতে দেখতে পাই। এক পর্যায়ে আমরা বান্ধবীরা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ও মেয়েটির নানী এসে মাটিতে নামিয়ে দেখি সে মারা গেছে।
মেয়েটির নানী সকালে সুমাইয়াকে রেখে স্থানীয় একটি গার্মেন্সে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
সুমাইয়া নলেয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তার মা ঢাকায় গার্মেন্সে চাকরি করেন। সুমাইয়া ভালো ছাত্রী ছিলেন। কি কারণে সে এমন ঘটনা ঘটালো কেই বলতে পারছে না বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রহিম বাদশা।
থানার এসআই প্রভাত চন্দ্র সরকার জানান, এ হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, লাশ মর্গে পেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই জানা জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।