প্রতিবছরের মত এবারও সাতক্ষীরার হিমসাগর আম ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে রপ্তানি হবে। তীব্র দাবদাহের কারণে এ বছর সাতক্ষীরা জেলায় আম আগে থেকেই পরিপক্ক হয়েছে।
শনিবার (১২ মে) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আদেশের পর গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আম ব্যাপকভাবে বাজারজাত শুরু হয়।
সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার, তালা, পাটকেলঘাটা, নলতা, পারুলিয়া, কালিগঞ্জ ও কলারোয়া সহ গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারগুলো আমি ভরে গেছে।
সাতক্ষীরার বড় বাজারের আম ব্যবসায়ী ইদ্রিস জানান, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন হাটবাজারে অবস্থান করছেন। প্লাস্টিক ক্যারি টি এসব আম প্রক্রিয়াজাত করে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
প্রতিদিন সাতক্ষীরা থেকে ৫ শতাধিক টন আম দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চলে যাচ্ছে। ১৫ দিন পর হিমসাগর, ল্যাংড়া, ও আম্রপালি আম ভাঙা শুরু হলেআমের বাসার এখানকার বাজারে থেকে দ্বিগুন হবে।
বর্তমানে দেশে আম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। এছাড়া হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা প্রতি কেজি। তবে হিমসাগর এখনো ভাঙ্গা শুরু হয়নি। কিছু আম যাদের পেকে গেছে শুধু তারাই বাজারজাত করছেন।
তালা সদরের শিবপুর এলাকার রাবেয়া বসরী বৈশাখী বলেন, ফলন ভালো হলেও ঝড়ে গাছের আম পড়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমের কারণে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আগেই পেকে গেছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষক আলী রেজা জানান, এক বিঘা জমিতে তার আম চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার আম বিক্রি করা যাবে।
গত বছর থেকে এ বছর আমের ফলন বেশি হয়েছে। সাতক্ষীরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, সাতক্ষীরায় এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে আম বাজারজাত শুরু হয়েছে। এবছর সাতক্ষীরা থেকে হিমসাগর,ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম ইউরোপে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ২০০শ’ টন।
এই কারণে জেলার ১৪ হাজার ৪ শত ৫১টি হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি গাছ বিশেষ ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এছাড়া অপরিপক্ক আম ভাঙ্গা থেকে বিরত থাকতে ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে বলা হয়েছে। তাছাড়া আমি কোন প্রকার কেমিক্যাল মিশ্রণ না করার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। কেউ এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।