রোজার মাসকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহ শহর জুড়ে নিয়ন্ত্রহীন বাজারগুলোতে অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে পাকা কলা, তরমুজ, কাঁচা তরকারীসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী।
বিশেষ করে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, হামদহ, আরাপপুর, পায়রা চত্তর, মডার্ন মোড়, বাস টার্মিনাল, চাকলাপাড়া, হাটের রাস্তা, ‘ট’ বাজারের মধ্যে এসব এলাকার দোকানগুলোতে অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে পাকা কলা।
রোজার শুরুর আগে বিভিন্ন জাতের বড় কলার দাম ছিল ১৫-২০ টাকা হালি, অথচ রোজার প্রথম দিন থেকে এক লাফে বাজারে কলার দাম হালি প্রতি বেড়েছে ২০ টাকা, তারপরও পাওয়া দুষ্কর। প্রতিটি কলার দাম পড়ছে ১০ টাকা। আকাশ ছোয়া কলার দিকে তাকাতে পারছে না নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
কলার দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বড় ব্যবসায়ীরা বলছে, সরবরাহ কম যার ফলে কলার দাম বৃদ্ধি হয়েছে। তবে ক্রেতাদের দাবি, এক সপ্তাহ আগেও বাজারে কলার সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল কিন্তু দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
তারা বলছেন, কিছু অসাদু ব্যবসায়ীরা কলার মূল্য দ্বিগুণ করেছে। যার ফলে গরিব মানুষ ইচ্ছা থাকলেও কিনতে পারছে না। ক্রেতাগণ দাবি করছেন এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। যেন এই ফল সবাই ভোগ করতে পারে।