ভৈরবে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টায় ৪ বখাটের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে তার মা সাহিদা বেগম। এ বিষয়ে বখাটের অভিভাবকদের ঘটনা জানালে তারা উল্টো ভয়ভীতি দেখাচ্ছে কিশোরীর পরিবারকে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে কিশোরীর পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতার মধ্য স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিষয়টি মোবাইলে ফোনে জানায়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ গ্রামের হাইস্কুল পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার দুইদিন পর গত সোমবার কিশোরীর মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে একটি মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্ত করা হল- কালিকাপ্রসাদ এলাকার হেদায়েত উল্লার ছেলে শরীফ (২২), মন্নাফ মিয়ার ছেলে ফাইম (১৮), লবু মিয়ার ছেলে বায়েজিদ (২৪) ও আউয়াল মিয়ার ছেলে তৌহিদ (২৬)।
এবিষয়ে কিশোরীর মা সাহিদা বেগম জানান, ঘটনাটি ঘটার পর বখাটেদের পরিবারের লোকজন আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে। আমি তাদের ভয়ে থানায় যেতে পারছিনা। তাই গোপনে কিশোরগঞ্জ গিয়ে মামলা করেছি।
এ নিয়ে এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানকে জানিয়েও বিচার পায়নি। তিনি বলেন, ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। এতদিন সাংবাদিকদের জানাতে পারেনি নিরাপত্তার ভয়ে।
সাহিদা বেগম আরো জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ৪ বখাটে বাসায় এসে আমার মেয়েকে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ঘর থেকে বের করে পাশের একটি ক্ষেতে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় আমি ও আমার স্বামী নবাব আলী বাড়ির পাশে একটি মাঠে ধান মাড়াই করছিলাম। ঘরে কেউ ছিলনা।
এসময় আমার মেয়ের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় বখাটেরা লোকজন দেখে পালিয়ে যায়
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ জানান, বিষয়টির ব্যাপারে এক মহিলা আমাকে ফোনে অবহিত করেছে। তবে আমি কয়েকদিন ভৈরবে ছিলাম না। তাই ঘটনাটি আমি কিছুই জানিনা।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদমীন জানান, ঘটনার ব্যাপারটি জানাতে কিশোরীর মা আমার কাছে এসেছিল। কিন্ত ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়। কাজেই বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন হয়ে গেছে। তারপরও পরিবারটিকে নিরাপত্তা দিতে আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি বলে জানান তিনি।