ইরানের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক বহাল রাখার কথা জানিয়েছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফকে তিনি এ কথা বলেন।
জাপানের রাজধানী টোকিওতে এক বৈঠকে অ্যাবে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বহুপক্ষীয় পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার পর দেশটির প্রতি একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে তেহরানও চুক্তির কিছু শর্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে।
পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের বছরখানেক পর গত সপ্তাহে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ইরান।
পরমাণু চুক্তি অনুসারে, ৩০০ কেজির সীমার মধ্যে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে ইরান। এছাড়া ভারী পানির উৎপাদন একশ ৩০ টনে সীমিত করে দেয়ার কথা। মজুদ কিংবা বিক্রির জন্য অতিরিক্ত ইউরেনিয়াম ও ভারী পানি দেশের বাইরেও নিয়ে যেতে পারবে ইরান।
কিন্তু এখন তেহরানের কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরেনিয়াম ও ভারী পানি সমৃদ্ধকরণে এখন থেকে কোনো সীমাবদ্ধতা মানবে না ইরান।
ইরানের এই প্রাথমিক উদ্যোগে এখন পর্যন্ত পরমাণু চুক্তির লঙ্ঘন ঘটছে না। কিন্তু হুশিয়ারি দিয়ে দেশটি বলছে, বিশ্বশক্তিগুলো যদি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে তাদের অর্থনীতিকে রক্ষা না করে, তবে উচ্চ পর্যায়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে দেবে ইরান।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইরানের এই সময়সীমা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, চুক্তির প্রতি তারা এখনো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।