হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকায় আগুনে ৮টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শহরের দাউদনগর বাজরের হাজী কমপ্লেক্সে এ ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জ এবং শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মার্কেটের নৈশপ্রহরী আব্দুল মজিদ বলেন, বিকটশব্দে ঘুম ভাঙ্গতে দেখি শামীম টেলিকম থেকে আগুন বের হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলোতে।
এতে বেবি চয়েজ, আফিল ক্লথ ষ্টোর, সিকদার পয়েন্ট, আল আমিন ওয়াচ, শাপলা ইলেক্টনিক্সসহ মোট ৮টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
হাজী কমপ্লেক্সের মালিকের ছেলে হাবিবুর রহমান সৌরভ জানান, মার্কেটের কাপড়ের দোকানগুলোতে ঈদের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকার হাট করা হয়েছে।
আগুনে কাপড়ের দোকানগুলোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তন্মধ্যে সিকদার পয়েন্টের ৭০ লক্ষ টাকা, আলিফ ক্লথ ষ্টোরের ৬০ লক্ষ, বেবি চয়েজে ৩০ লক্ষ, শামীম টেলিকমে ৫ লক্ষ, আল আমিন ওয়াচে ৫০ হাজার, শাপলা ইলেক্ট্রনিক্সে ১ লক্ষ টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে।
শাপলা ক্লথ ষ্টোরের সেল্সম্যান রুস্তম আলী জানান, ঈদের জন্য গত দুইদিন ৩০ লক্ষ টাকার মাল কিনা হয়েছে। আগুনে সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বেবি চয়েজের মালিক হারুন মিয়া জানান, তার দোকানের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অবশিষ্ট কিছুই থাকেনি আগুনের শিখা থেকে।
মার্কেটের মালিক হাজী জিতু মিয়া জানান, আগুনে মার্কেটের সার্টার, ছাদ, আসবাপত্রের প্রায় ১০-১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে শামীম টেলিকম অথবা বেবি চয়েজের আইপিএস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
এসময় শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার স্টেশন থেকে দুইটি ও হবিগঞ্জ থেকে তিনটি ইউনিট আগুন নিভাতে কাজ করেছে। আগুনে কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ক্ষতি হয়েছে এবং প্রায় ৫ কোটি টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।