ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নিহত বাংলাদেশিদের জন্য শোক প্রকাশ

অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার সময় তিউনেশিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নিহত বাংলাদেশিদের জন্য সংসদীয় কমিটি শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে। 

বুধবার (১৫ মে)  জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই তাগিদ ও সুপারিশ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

এছাড়া যেসব দালাল চক্র অবৈধ এই মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও তাগিদ দিয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মিশনগুলোকে আহত ও নিহতদের সহযোগিতা প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মো. আব্দুল মজিদ খান, নাহিম রাজ্জাক ও নিজাম উদ্দিন জলিল (জন)। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাহবুবুজ্জামান, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব খোরশেদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে মিশনগুলোতে জনবলের স্বল্পতা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং এ সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়কে দ্রুত জনবল নিয়োগের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে স্বল্প জনবল সমস্যার সমাধার করার সুপারিশ করা হয়। কমিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষণ একাডেমি পরিদর্শনের জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের জুলাই থেকে ১০ বছর মেয়াদী ইলেকট্রোনিক্স পাসপোর্ট দেওয়া হবে। এছাড়া কমিটি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোকে পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার সুপারিশ করে।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে ২০২০ সালের ‘মুজিব বর্ষ’ পালণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং ‘মুজিব বর্ষ’ পালণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ কমিটির সিদ্ধান্তসমূহ স্থায়ী কমিটিকে অবহিত করা। এছাড়া গৃহীত কর্মসূচিগুলো চূড়ান্ত করে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সাব-কমিটি গঠন এবং সম্ভাব্য বাজেট প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়। ‘মুজিব বর্ষ’ পালনকালে সবগুলো মিশনের সামনে দৃষ্টিনন্দন ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান পালনের আবহ তৈরি করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে বিদেশি মিশনগুলোকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা, ডাটাবেইজ তৈরির মাধ্যমে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করে সেবার মানোন্নয়ন এবং মিশনে কর্মরতদের মাধ্যমে যাতে প্রবাসীরা কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখার সুপারিশ করে। বৈঠকে বিদেশে বাংলাদেশি মিশন ও মন্ত্রণালয় সম্পর্কে গণমাধ্যমে কোনো বিরুপ সংবাদ প্রকাশিত হলে তাৎক্ষণিক সন্তোষজনক জবাব প্রস্তুত করে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।