নরসিংদীতে আমিরগঞ্জ মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে নিখোঁজ ছাত্র ফজর রহমান সাব্বিরকে (১৩) বিগত ৮ মাস পর উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর কৌশলে প্রলোভন দেখিয়ে হাসনাবাদ বাজার থেকে ট্রেনযোগে তাকে চট্রগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়।
চট্রগ্রামে নিয়ে তাকে আসামি নাজিমের নিকট হস্তান্তর করা হয়। নাজিম পরেরদিন সকালে তাকে রাঙ্গামাটির মানিকছড়ি নিয়ে আসামি খোকনের নিকট বিক্রি করে দেয় এবং খোকন তার উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
আসামি খোকন সাব্বিরকে রাঙ্গামাটির বরকল থানাধীন কুসুমতলি নামক স্থানে নিয়া জোরপূর্বক মাছ ধরার কাজে নিয়োগ করে। সাব্বির কয়েকবার কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে মারপিটসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আটকিয়ে রাখে এবং সাব্বিরসহ অন্যান্যদের নিয়ে মাছ ধরানোর কাজ করাত।
আনুমানিক ১ মাস পর কৌশলে একদিন সাব্বির আসামি খোকনের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে তার মা মোছাঃ বিলকিস বেগমের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তার মা জানতে পারেন সাব্বিরকে আটকিয়ে রেখে মাছ ধরানোর কাজ করানো হচ্ছে। পরবর্তীতে বিলকিস বেগম উক্ত নম্বরে একাধিক ফোন করিলে আসামি খোকন জানায়- তার ছেলেকে সে ক্রয় করে রেখেছে এবং তারা তার ছেলেকে আর ফেরত দিবে না।
পরে বিলকিস বেগম কোন উপায় না পেয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার বরাবর তার ছেলেকে উদ্ধারের জন্য লিখিত আবেদন করলে জেলা গোয়েন্দা শাখাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পরে জেলা গোয়েন্দারা সাব্বির ও আসামির অবস্থান নির্নয় করে রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপারের সহায়তায় কোতয়ালী থানা এলাকা থেকে আসামি খোকনকে গ্রেফতার করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় সাব্বিরকে।
এ দিকে গোয়েন্দা সূত্রের বরাদ নিয়ে জানা যায়, আসামি খোকনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম ফজর রহমান সাব্বিরকে অর্থের বিনিময়ে গ্রহণ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাছ ধারার কাজে নিয়োজিত করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
মাদ্রাসাছাত্র সাব্বির জানায়, রাঙ্গামাটি বরকল এলাকায় মাছ ধারার মৌসুমে দালাল চক্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অল্প বয়সী ছেলেদের ধরে নিয়ে বিভিন্ন নৌকায় মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত করা হয়।