Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

অভিনব কায়দায় প্রতারণার ফাঁদ বিবি মরিয়মের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০১৯, ০২:১০ PM
আপডেট: ১৫ মে ২০১৯, ০২:১০ PM

bdmorning Image Preview


মাজেদুল ইসলাম ও বিবি মরিয়ম নাম দুইটা বেশ পরিচিত, বলা যায় পরিচিতির পেছনে সম্পূর্ণ অবদান চট্টগ্রাম তথা সারাদেশের সাড়া জাগানো অনলাইন টিভি চ্যানেল সিটিজি ক্রাইম টিভির, তবে আরো বলা বাহুল্য যে, যে প্রতিষ্ঠানে অবদানে সাংবাদিকতার সবটুকু পরিচিতি লাভ সেই প্রতিষ্ঠানে থেকেই অপকর্ম করে বিতাড়িত হোন এই দুই সাংবাদিক।

জানা যায়, গেলো ২০১৯ সালের মে মাসে বার্তা সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ নেই নোয়াখালীর মাজেদুল ইসলাম, ঠিক এর এক বছর আগে ডিভোর্সপ্রাপ্ত মহিলা বিবি মরিয়মকে কোন এক প্রতিনিধির অনুরোধে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে উপস্থাপিকা হিসেবে নিয়োগ দেই চ্যানেলটির চেয়ারম্যান আজগর আলী মানিক, পরে উপস্থাপিকা থেকে পদন্নোতি পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও তুলে দেন আজগর আলী মানিক, দুজন কয়েকমাস ভালোভাবে অফিসের কার্যকাল ভালো করে বিশ্বস্থতা অর্জন করে করলেও কিন্তু এই অন্ধ বিশ্বস্থার সুযোগে দুজনের যোগসাজশকতায় গোপনে ডিভোর্সপাপ্তা মহিলা বিবি মরিয়ম বার্তা সম্পাদক মাজেদুল ইসলামের সাথে মিলে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের চোখে ধুলো দিয়ে চ্যানেলটির ক্ষতি সাধন করে আসছিলো যা আজগর আলী মানিকের জন্য অভাবনীয় ছিলো।

ক্ষতি সাধনের গণ্ডি পেরিয়ে অপকর্মের মত অপবিত্র কর্ম করে তারা, অপকর্মের বিষয়ে বিবি মরিয়ম ও মাজেদুল ইসলাম দুজনকে প্রশ্ন করা হলে তারা ২০১৬ সালে বিয়ে করে বলে জানায়, ২০১৬ সালে বিয়ের হওয়ার কথাটি শুনে খটকা লাগলে কৌতূহল নিয়ে কিভাবে ১৬ সালে বিয়ে হয় বিষয়ে জানতে চাইলে তার কোন জবাব দিতে পারেনি তারা, ফলে পুরো বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় দুজনকে একি সাথে বহিষ্কার করে চ্যানেলটি এইচআর বিভাগ।

তথ্য সূত্রে ডিভোর্সি মহিলা বিবি মরিয়ম প্রথম আনিসুর রহমান হেলাম নামক এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে ৬ বছর সংসার করে, পরে শহিদ নগরের জাকির হোসেন নামক আরেক ব্যক্তির সাথে বিয়ে করে ২য় বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ৬ মাস সংসার করেন তিনি, এরপর কালাম সওদাগর নামক আরেক ব্যক্তির সাথে ৩য় বিয়ে এবং সর্বশেষ তথা চতুর্থ বিয়ে করে একি প্রতিষ্টানে কর্মরত বার্তা সম্পাদক নোয়াখালীর মাজেদ ইসলামকে।

এবিষয়ে সিটিজি ক্রাইম টিভি'র চেয়ারম্যান আজগর আলী মানিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি কষ্টঘোচা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বলেন, তাদের দুজনকে আমি আমার প্রতিষ্ঠানের দুটি ফুল মনে করতাম কিন্তু তারা যে অপবিত্র ফুল ছিলো তা আমি কখনো কল্পনাও করিনি, তারা আমার এই পবিত্র প্রতিষ্ঠানটিতে কেন অপবিত্রার ছোঁয়া লাগালো তা আমি মনকে কোনভাবে বোঝাতে পারছি না, তাদের জন্য কোন কিছুর কমতি আমি রাখিনি, কোন কিছুর অভাব হলে বা কোন কিছু চাওয়ার থাকলে তারা আমাকে বলতে পারবো আমি তো তাদের বাধা দিতাম না, কিন্তু আমার বিহাইন্ড অব কেন এটা করলো? তারা জানে আমার এই প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মীকে আমি আমার অন্তরের অন্তস্তলে জায়গা দিয়ে রাখি, কিন্তু তারা এসব জানার পরও কেন এটা করলো তা সত্যি আমার কাছে অকল্পনীয় লাগে, অবশেষ বলতে চাই প্রত্যোক কর্মী অন্তত তাদের মালিক বা প্রধানদের বোঝার চেষ্টা করবেন, আমার জানামতে কোন মালিক বা প্রধান কখনো চাইনা তার কোন কর্মীর ক্ষতি হোক, আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যা করেছে তা করে তারা জিতেনি বরং আমার বিশ্বাসের কাছে তারা হেরে গেছে, হেরে গেছে নিজেদের বিবেকের কাছে।

Bootstrap Image Preview