Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত নকল, এবার বোর্ডের তদন্ত

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০১৯, ০৬:০০ PM
আপডেট: ১৪ মে ২০১৯, ০৬:০০ PM

bdmorning Image Preview


ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল বিএম কলেজে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ও ২য় বর্ষের পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আলী নবাবকে অব্যাহতি দেওয়ার পর এবার বিষয়টি নিয়ে বাউবি’র শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক তদন্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল কাফি এ তদন্ত করে।

তদন্ত শেষে আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, আমি তদন্ত করেছি, এ তদন্তের প্রতিবেদন বোর্ডে গিয়ে জমা দিবো। তারপর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে শুক্রবার (১১ মে) ঠাকুরগাঁওয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) অধীনে এইচএসসি পর্যায়ের ১ম বর্ষের পরীক্ষায় রানীশংকৈলের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে দেখা গেছে- কারও সামনে বইয়ের ছেঁড়া পাতা, কারও সামনে পুরা বই খোলা। তা দেখে উত্তরপত্রে লিখছে পরীক্ষার্থীরা।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে গত ২৬ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই কেন্দ্রে ৪৯৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।

পরীক্ষার্থীরা অবাধে বইয়ের পাতা বেঞ্চের ওপরে রেখে তা দেখে উত্তরপত্রে উত্তর লিখছে। আবার কেউ পুরো বইটাই বেঞ্চের ওপর রেখে উত্তরপত্রে উত্তর লিখছে। কোথাও আবার একজন পরীক্ষার্থীর সামনে থাকা বইয়ের পাতা দেখে কয়েকজন পরীক্ষা লিখছে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তা প্রতিরোধে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

পরবর্তীতে গত ১০ মে শুক্রবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে একই দৃশ্যের দেখা মেলে। পরীক্ষার কেন্দ্রে এই প্রতিবেদককে ঢুকতে দেখে কেন্দ্রে পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা কয়েকজন শিক্ষক এগিয়ে আসেন। সে সময় কেন্দ্র সচিব মোঃ হাসান আলী নবাব বলেন, ‘আসুন অফিস কক্ষে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি।’

উল্লেখ্য, রানীশংকৈলে উন্মুক্ত পরীক্ষায় উন্মুক্ত নকল খবর প্রকাশের পর ১৩ মে পরীক্ষা কেন্দ্র কমিটির সভাপতি ইউএনও মৌসুমী আফরিদা তড়িৎ গতিতে ঐ কেন্দ্রর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ হাসান আলী নবাবকেসহ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্র কমিটির আরো দুই সদস্যকে অব্যাহতি দেয়।

পরে ঐ কলেজে সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কাদিরকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দিয়ে নতুন কমিটি করা হয়। ইউএনও’র পরে এবার শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নকলের মাধ্যমে পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হলো।

তবে ইউএনও মেীসুমী আফরিদা এ বিষয়ে আর কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং তদন্ত কমিটি না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের।

Bootstrap Image Preview