সুনামগঞ্জ থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিকের শাল্লা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক জয়ন্ত সেনকে হত্যাচেষ্টা ও তার ওপর হামলার ঘটনায় আদালত দুই অভিযুক্ত সহোদরকে জেলে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেছেন।
সোমবার (১৩ মে) আগাম জামিন নিতে আদালতে হাজির হলে শাল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শুভদ্বীপ পাল তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন।
কারাগারে প্রেরণকৃতরা হলেন, উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের রবীন্দ্র রায়ের ছেলে মিহির রায় ও তার সহোদর রানা রায়।
সোমবার বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করে জামিনের বিরোধীতা করেন অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু। তাকে সহযোগিতা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট চান মিয়া, অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ সরকার, অ্যাডভোকেট আজাদুল ইসলাম রতন, অ্যাডভোকেট সবিতা চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট নাসিরুল হক আফিন্দি, অ্যাডভোকেট এনাম আহমেদ, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন।
একই মামলায় ঘটনার মূল হোতা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মৃত নগেন্দ্র রায়ের ছেওে গোপাল রায় ইতিপুর্বে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। গোপালের প্রধান সহযোগী অপর আসামি একই গ্রামের রিংকু রায় এখনো পুলিশের নিকট অধরাই রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত ৫ মে সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ আসার পথে উপজেলার নিয়ামতপুর-জয়পুর নামক মধ্যবর্তী স্থানে শিশুকন্যা ধর্ষণ চেষ্টাকারি গোপাল রায়ের নেতৃতে জয়ন্ত সেনের উপর একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়।
দুর্বৃত্তরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে বেদম মারপিট করে মৃত ভেবে তার এক পা ভেঙে দিয়ে তাকে হাওরের নির্জন স্থানে ফেলে যায়।
জয়ন্ত সেন বর্তমানে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে অর্থোপ্যাডিক্স বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১০ মে এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক শাল্লা থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অন্যান্য আসামিরা হল, উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মৃত রবীন্দ্র রায়ের ছেলে রিংকু রায়, মৃত প্রাণকৃষ্ণ রায়ের ছেলে ইন্দ্রজিত রায়, রবীন্দ্র রায়ের ছেলে মিহির রায় ও রানা রায় এবং একই গ্রামের বাবলু রায়সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২ থেকে ৩ জন।