ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় নয় মাসের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী তালাক চাওয়ায় দুলাল উদ্দীন (২১) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
জানা যায়, দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী সমেজা খাতুন (১৮) মশালডাঙ্গী গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে যায়। এ দিকে মেয়ের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে হরিপুর থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শ্বশুর আব্দুস সাত্তার।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে থানায় বিষয়টির সমাঝোতা করতে উভয় পক্ষকে ডাকে হরিপুর থানা পুলিশ। থানায় দুপক্ষ উপস্থিত হলে স্ত্রীকে তালাক দিতে রাজি হয়নি দুলাল। কিন্তু স্ত্রী সমেজা খাতুন তার সংসারে আসতে রাজি না হওয়ায় দেহমোহর টাকা ৭ দিনের মধ্যে ফেরত দিয়ে তালাকের সিদ্ধান্ত নেয়।
ওই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার সময় নিজে গিয়ে বাড়িতে গলায় ফাঁস দেয় দুলাল। এ সময় দুলালের মা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গলার ফাঁস কেটে হরিপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হরিপুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান জানান, বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে মতের অমিল ছিল। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার সমঝোতাও হয়েছে। আজ থানায় বসা হয়েছিল। মেয়েটি সংসার করতে রাজি না হওয়ায় দুই পরিবার বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এটা সহ্য করতে না পেরে দুলাল গলায় ফাঁস দিয়েছে।
দুলালের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি ইউডি বা অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি।