Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান বিশ্বনাথের আখলু মিয়া

পাভেল সামাদ, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০১৯, ০৯:৪৯ PM
আপডেট: ১৩ মে ২০১৯, ০৯:৪৯ PM

bdmorning Image Preview


মৃত্যুর আগে অন্তত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতিটুকু পেতে চান সিলেটের বিশ্বনাথের আখলু মিয়া। তিনি উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত সুনা উল্লাহর পুত্র।

জীবন বাজী রেখে ১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া আখলু মিয়ার নাম ভারতীয় তালিকায় (নং ১১০৩৯৫) থাকলেও স্বাধীনতার এত যুগ পেরিয়েও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ঠাই হয়নি তার। যে কারণে পাননি মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি। হননি ভাতাভুক্ত। এখন অনেকটা পরনির্ভরশীল হওয়া আখলু মিয়া তিন মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন অভাব-অনটনে।

আখলু মিয়া জানান, ১৯৭১ সনে আনুমানিক ২২/২৩ বছর বয়সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ভারতের ইছামতি-ছ্যালা ইয়ুথ ক্যাম্পে যোগদান করে প্রশিক্ষণ নিই। পরে ৫নং সেক্টরে সাব-সেক্টর ইয়ামিন চৌধুরীর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে গোলাবারুদ বহন করি। সব রকম বাঙ্কার খোদাইসহ যাবতীয় কাজ করি। সে সময় আমাদের ইনচার্জ ছিলেন মৃদুল দাশ পুরকায়স্থ। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মীর শওকত আলী। দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় আমরা স্থানীয় হাদা টিলা হয়ে ছাতকে প্রবেশ করি। ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে এসে আমাদের আস্তানা ছিল হেমু বাবুর বাড়ী।

আখুল মিয়া আরও জানান, মুক্তিযুদ্ধের বেশ কিছুদিন পরে আমি দু’দফায় লিবিয়া ও সৌদি আরবে জীবিকার সন্ধানে চলে যাই। যে কারণে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তি ও ভাতাভূক্তির বিষয়টির খোঁজখবর রাখতে পারিনি। পরে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে অনেকবার আবেদন করেছি। আমি মৃত্যুর আগে অন্তত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটা পেয়ে যেতে চাই।

এদিকে, আখলু মিয়ার এসব আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই বিশ্বনাথের তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনামণি চাকমা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হওয়া সংক্রান্ত যে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠান, তাতে তিনি উল্লেখ করেন- ‘আখলু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তিনি ১৯৭১ সনে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ইকোয়ানা নামক স্থানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ভারতের ছ্যালা সাব-সেক্টরের আওতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। এ উপজেলার (বিশ্বনাথ) একজন মুক্তিযোদ্ধা মুহিবুর রহমান লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ১৯৭১ সনের জুলাই/আগস্ট মাসে ভারতের বাঁশতলার (ডিংরাই ইযুথ ক্যাম্প) আখলু মিয়াকে দেখেছেন।’

সে সময় প্রেরিত তদন্তের প্রেক্ষিতে বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কোনো নির্দেশনা এসেছে কিনা জানতে চাইলে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার জানান, এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি।

Bootstrap Image Preview