Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নিয়োগ অনিয়মে প্রধান শিক্ষকের প্রতি ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০১৯, ০৬:০১ PM
আপডেট: ১৩ মে ২০১৯, ০৬:০৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৪নং রামপাশা ইউনিয়নের পালেরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক হেকিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। 

রবিবার (১২ই মে) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন পালেরচক এলাকাবাসী।

এতে বলা হয়, ‘স্থানীয় আবেদনকারীদের বাদ দিয়ে স্কুল কেচম্যাপ এড়িয়ে পার্শ্ববর্তী আরো অনেক গ্রাম থাকা সত্বেও তাদেরকে না নিয়ে অন্য এলাকার সুনুল হক নামের একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের সীমানার বাইরের এলাকার একজনকে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নৈশ প্রহরী নিয়োগ দানে সহায়তা করেছে।’ ‘যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেই সুনুল হক প্রধান শিক্ষকের হেকিম উদ্দিনের এলাকারন স্থায়ী বাসিন্দা।’

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পালের চক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন এই প্রধান শিক্ষক হেকিম উদ্দিন। প্রতি অর্থ বছরের স্লিপ ও প্রাক-প্রাথমিকের টাকা বিদ্যালয়ের অনুদান হিসাবে জমা হয়৷ কিন্তু এর অধিকাংশ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে এলাকাবাসীরা জানান, দেশ যখন ডিজিটালের ছোয়ায় উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কোমলমতি শিশুদের মানুষ হিসাবে গড়ার কারখানা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি শিক্ষাখাতের উন্নয়নের জন্য বড় বাধা হিসাবে কাজ করবে। 

ওই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন বলেন, বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট সীমানার বাহিরের এলাকার যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নৈশ প্রহরী নিয়োগ দিয়েছেন।

প্রধান শিক্ষিক হেকিম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা আত্বসাৎের কথা মিথ্যা বলে দাবি করেন।বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী নিয়োগে স্থানীয় বাসিন্দা বাদ দিয়ে নিজ গ্রামের লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview