Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় স্কুলছাত্রী ইন্নির

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০১৯, ০৩:৪১ PM
আপডেট: ১৩ মে ২০১৯, ০৩:৪১ PM

bdmorning Image Preview


মাদারীপুরের শিবচরে আবাসিক হোটেলে ধর্ষণের শিকার হয়ে নিহত নবম শ্রেণির ছাত্রী ইন্নির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদার।

সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেল এবং সহযোগিতা করার অভিযোগে ওই হোটলের ম্যানেজার মো. খায়রুল ও হোটেল বয় রোনাল্ডকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রুবেল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশ সুপার আরো জানান, স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে রবিবার দুপুরে ওই হোটেলের তৃতীয় তলায় ভাড়া নেয় ইন্নি ও রুবেল। পরে ইন্নিকে চেতনানাশক গর্ভনিরোধক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে রুবেল। রুবেলও যৌন উত্তেজক ওষুধ খায়। পরে অশ্লীল যৌনাচার চালায় ইন্নির সাথে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ইন্নি মারা যায়।

তিনি জনান, মারা যাওয়ার পর কৌশলে হোটেল থেকে রুবেল পালিয়ে যায়। রাতে ওই হোটেলের এক কর্মচারী রুমের দরজা খোলা অবস্থায় ইন্নির মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চেহারা শনাক্ত করে নিজ বাড়ি থেকে রাতেই রুবেলকে আটক করা হয় কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাট থেকে। এ ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে ওই হোটেলের ম্যানেজার মো. খায়রুল ও হোটেল বয় রোনাল্ডকে আটক করে পুলিশ।

নিহত ইন্নী শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মুন্সীকান্দি গ্রামের মৃত ইলিয়াস মুন্সীর মেয়ে। এদিকে প্রধান অভিযুক্ত রুবেল কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার তোতা খানের ছেলে।

Bootstrap Image Preview