Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

নরসিংদীতে পর্যাপ্ত মনিটরিং না থাকায় বাড়ছে অবৈধ পণ্য

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১১ মে ২০১৯, ০৬:০০ PM
আপডেট: ১১ মে ২০১৯, ০৬:০০ PM

bdmorning Image Preview


নরসিংদীতে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা বিএসটিআই শাখা কার্যালয়টি যেসব কোম্পানির পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সেটি ভোক্তাদের রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ফেলার মতো। 

তারই প্রভাব পড়ছে স্থানীয় হাটবাজারগুলোর ছোটখাটো পণ্যের উপর। যেমন, অনুমোদনহীন বেকারীর তৈরি করা খাবার ও ফুটপাতে থাকা বিভিন্ন খাবার পণ্য। এই খাবারগুলোতে কর্তৃপক্ষ সরকারকে রীতিমতো ভ্যাট না দিয়ে মাসের পর মাস পণ্য রপ্তানী করে আসছে এসমস্ত কোম্পানীগুলো। 

অপরদিকে, সরকার কোটি কোটি টাকার রপ্তানী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যেমন- নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলায় প্রায় ৩০০ এর অধিক বেকারী রয়েছে। প্রায় বেকারী গুলোতে নেই কোন বিএসটির অনুমোদিত ছাড়পত্র।

কিন্তু প্রতিটি বেকারীগুলোতে প্রায় ১৬টির অধিক খাদ্যদ্রব্য তৈরি করছে তারা। অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা দোষ ত্রুটি রয়েছে তাদের। তবুও এসমস্ত কার্যগুলোতে নজর না দিয়ে পূর্ণ দামে শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে এই অস্বাস্থ্যকর খাবার।

এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে- সরিষার তেল, চিপস, খাবার পানি, নুডলস, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, আয়োডিন যুক্ত লবণ, সেমাই, চানাচুর, বিস্কুট এবং কেক, মিষ্টিসহ অধিকাংশ পণ্য। বাজারে ক্রেতাদের কাছে পরিচিত বেশ কয়েকটি কোম্পানির পণ্যও রয়েছে এসবের মধ্যে। এরই বিরুপ প্রভাব পড়ছে মানবদেহের উপর।  

এদিকে খাদ্য বিশেষজ্ঞ আব্দুল হাইস আহমেদ বলেন, এই জেলাতে সম্প্রীতি সময়ে বাজার মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন এর নেতৃত্বে যে সমস্ত মনিটরিং এর ব্যবস্থা রয়েছে তা জেলার আয়তন অনুসারে পর্যাপ্ত নয়। যেহেতু এখন রমজান মাস তাই প্রতিটি হাটবাজারগুলোতে প্রতিদিনই মনিটরিং উচিত বলে মনে করেন তিনি। 

এই ছয় উপজেলার প্রায় ৭২টি ইউনিয়নের ৬৩৯টি ওয়ার্ডগুলোতে প্রায় ১৬ শত এর অধিক রয়েছে মিষ্টি পণ্যে দোকান। কিছু দোকানগুলোতে পচা-বাসী পানি দিয়ে তৈরি হয় স্বাদের মিষ্টি। যা নিয়মিত মনিটরিং না করায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।  
 

Bootstrap Image Preview