Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মৃত্যুর পরবর্তি খরচ নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ মে ২০১৯, ০৪:০১ PM
আপডেট: ১১ মে ২০১৯, ০৪:০১ PM

bdmorning Image Preview


মানুষের গড় আয়ু ক্রমাগত বাড়ছে। একইসাথে, মানুষের আয়ু যত বাড়ছে শেষ বয়সে অনেকটা দিন তাদের অসুস্থ জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এজন্য, কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠান এখন বয়স্ক মানুষদের মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে উৎসাহিত করছে - শেষ জীবনে তাদের কী ইচ্ছা, কোথায় তারা মৃত্যুবরণ করতে চায়, মৃত্যুর পর তাদের শবদেহ সৎকার নিয়ে তাদের কী ইচ্ছা ইত্যাদি বিষয়ে।

'এন্ড অব দি লাইফ কেয়ার চ্যারিটি' নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান বলছে, 'মৃত্যু নিয়ে খোলাখুলি কথা বললে মানুষ যেভাবে মৃত্যুবরণ করতে চায় সেই ইচ্ছা পূরণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। স্বজনদের জন্যও এটা বড় ধরণের এক আত্মতৃপ্তি। তাদের প্রিয়জনের ইচ্ছামত সব হয়েছে, এটা ভেবে তারা স্বস্তি বোধ করে।'

সমীক্ষায় দেখা গেছে, সিংহভাগ মানুষ নিজের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করতে চায়। কিন্তু বাস্তবে মানুষের মৃত্যুবরণের সম্ভাব্য জায়গা এখন হাসপাতাল। গত বছর ইংল্যান্ডে যত মৃত্যু হয়েছে, তার প্রায় অর্ধেকই হয়েছে হাসপাতালে। ২৫ শতাংশেরও কম মৃত্যু হয়েছে বাড়িতে। আর বাকিটা হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে।

কোথায় মৃত্যু হবে শুধু সেই ইচ্ছা ছাড়াও মৃত্যুর পর তার সৎকার কীভাবে হবে - ব্রিটেনে বহু মানুষ এখন তাও আগে থেকে বলে যান।

১৯৬০ এর দশকে এসেই ব্রিটেনে কবর দেওয়ার চেয়ে দাহ বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত দাহ প্রথার জনপ্রিয়তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। সেই থেকে এদেশে ৭৫ শতাংশ মৃতদেহ দাহ করা হয়। ২০১৭ সালে এসে দাহ করার পরিমাণ আরো বেড়ে দাড়িয়েছে ৭৭ শতাংশে।

ব্রিটেনে এখন শত শত 'গ্রিন' অর্থাৎ প্রাকৃতিক কবরস্থান রয়েছে যেখানে কফিন বা শবাধার তৈরি হতে হবে এমন সামগ্রী দিয়ে যা একসময় মাটির সাথে মিশে যাবে। এছাড়া কবরের ওপর ইট বা পাথরের কোন স্মৃতিফলক বসানো যাবেনা। বদলে, চাইলে স্বজনদের কবরের ওপর একটি গাছ পোঁতার অনুমতি দেওয়া হয়।

এসব প্রাকৃতিক কবরস্থানে, কবর বেশি গভীর করা হয়না। ফলে, মরদেহ দ্রুত পচে মাটির সাথে মিশে যায় এবং এই কবর থেকে অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণে মিথেন বা গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরিত হয়।

ব্রিটেনে প্রথাসিদ্ধ কবর দেওয়ার চেয়ে দাহ বা পোড়ানোর খরচ কম। জায়গা যত কমছে, কবরের খরচ তত বেড়ে যাচ্ছে। আসলে যে পন্থাতেই সৎকার হোক, খরচ দিন দিন বাড়ছে।

সৎকারের বীমা বিক্রি করে এমন একটি বীমা প্রতিষ্ঠান 'সানলাইফ' বলছে, গত ১০ বছরে মৃতদেহ সৎকারের খরচ ৭০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এর প্রধান কারণ, কবরের জায়গার দাম বাড়ছে। তাছাড়া, মরদেহ সৎকারে সরকারের পক্ষ থেকে যে ভর্তুকি দেওয়া হতো, তাও কমিয়ে দেওযা হচ্ছে।

ব্রিটেনে ৪৫টি কাউন্টিতে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে স্থানীয় সরকারগুলোর অধীনস্থ কবরখানাগুলোতে আর জায়গা থাকবে না।

লন্ডনের উত্তর-পূর্বের একটি এলাকায় 'গার্ডেন অব পিস' নামে একটি মুসলিম কবরস্থানের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর বলেন- মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে, এবং মুসলিমরা দাহ করেনা।

ইহুদিদের সৎকার সংক্রান্ত সামাজিক একটি প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র ডেভিড লিবলিং বলছেন, বিভিন্ন জায়গায় ইহুদি কবরখানার জায়গা বাড়াতে নতুন জমি কেনা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview