Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাবনায় তীব্র তাপদাহে হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ মে ২০১৯, ০১:৫৩ PM
আপডেট: ১১ মে ২০১৯, ০১:৫৩ PM

bdmorning Image Preview


পাবনায় তীব্র তাপদাহে অস্থির সময় পার করছেন সাধারণ মানুষ। গরমের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না খেটে খাওয়া দিন মজুরেরা। 

আর এই গরমে হাসপাতালগুলোতে বেড়ে চলেছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আর এসব রোগীর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। দুইশত পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কক্ষ ছাড়িয়ে  বারান্দায় বিছানা পেতে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিতে দেখা গেছে। 

গত এক সপ্তাহে শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে শতাধিক রোগী। গরমের কারণে স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা গ্রহণ করছে। 

গত এক সপ্তাহে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া জনিত কারণে প্রায় ৪শ’ রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৩২ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। গত এক সপ্তাহে শিশু ওয়ার্ডে প্রায় ৬শ’ শিশু ভর্তি ছিল। বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ৮৫ জন। তবে হাসপাতালের অব্যবস্থায় সুচিকিৎসা না পাওয়ায় অনেক রোগী অভিযোগ করেন। সে কারণে অনেক রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন বলেও জানা যায়।

এদিকে পাবনা ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের গরমের সর্বশেষ দেয়া তথ্যমতে বিগত কয়েকদিনে পাবনা- ঈশ্বরদীসহ জেলার বেশির ভাগ অঞ্চলে গড়ে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তাপমাত্রা অনুভব হচ্ছে ৪০ ডিগ্রির উপরে। গতকাল বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিলো ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে খুব প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। সূর্যের প্রচণ্ড উত্তাপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
 
পাবনা ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক  মো. নাজমুল হক বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে পাবনা জেলার উপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। গত দুই দিন পাবনা জেলাতে ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রবাহিত হয়েছে। কবে নাগাদ বৃষ্টি হবে বা তাপমাত্রা সহনশীল হবে এই তথ্য আগাম বলতে পারছি না। তবে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা এ রকমই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. লামিয়া সুলতানা বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্ট জনিত নানা সমস্যা নিয়ে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। তবে চিকিৎসক হিসেবে আমার পরামর্শ বাচ্চাদের ঘনঘন পানি খাওয়াতে হবে। গরমে ঘাম যাতে শিশুর গায়ে বসে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর যে সব শিশুরা মায়ের বুকের দুধ খায় তাদের বুকের দুধ বেশি বেশি করে খাওয়াতে হবে। বাইরের খোলা খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। রোগ প্রতিরোধের জন্য দেশীয় ফল ডাব, কলা, তরমুজ, আনারস, পেয়ারা, জামরুল খাওয়া যেতে পারে।

Bootstrap Image Preview