গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই শিশুটিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী মডার্ন কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এদিকে এই ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধর্ষকের মা সাহেদা বেগম, বোন রুমাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত মিল্টন ফকির পলাতক রয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর মা জানান, ‘১০ দিন আগে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ভাইয়ের বাড়ি কুশলী মধ্যপাড়া বেড়াতে যাই। বৃহস্পতিবার ইফতারি শেষে পাশের বাড়িতে পানি আনতে যাই। এসময় আমার মেয়ে বাড়ির উঠানে খেলছিল। বাড়িতে আর কেউ না থাকার সুযোগে সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই হাসেম ফকিরের ছেলে মিল্টন ফকির আমার মেয়েকে ডেকে তাদের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় মেয়েকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পানি নিয়ে বাড়িতে ফিরে মেয়েকে দেখতে না পায়ে ডাকাডাকি করি। তখন আমার মেয়ে ওই কক্ষ থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসে এবং ঘটনাটি খুলে বলে।’
ওই শিশুর মামা বলেন, ‘আমার মা একা বাড়িতে থাকেন। আমরা কেউই বাড়িতে থাকি না। ১০ দিন আগে আমার বোন তার মেয়েকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার আমার ভাগ্নিকে বাড়িতে একা পেয়ে মিল্টন কৌশলে ডেকে নিয়ে তাদের নির্মানাধীন বাড়ির একটি কক্ষে ধর্ষণ করে। ভাগ্নিকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় ধর্ষকের পরিবারের লোকজন আমার বোনকে বাধা দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ভাগ্নিকে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাত ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে আমরা ঢাকা থেকে বাড়িতে আসি।’
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনালের হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ার ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের আলামত নিয়ে ভর্তি হয়েছে শুনেছি। তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।’
এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া থানার এসআই মনির হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর জিজ্ঞাবাদের জন্য অভিযুক্ত মিল্টন ফকিরের মা ও বোনসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক মিল্টনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।