বার্সেলোনাকে হারিয়ে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে দুর্দান্ত কামব্যাক করে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে লিভারপুল। দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও আরেক কামব্যাকের ছবি। আয়াখসের বিরুদ্ধে দুরন্ত কামব্যাক টটেনহ্যামের।
নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্সের মাঠে ৯০+৫ মিনিট পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল টটেনহ্যাম। ৯০+৬ মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোলটি করে ৩-৩ গোলে ড্র করে। কিন্তু অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে আয়াক্স রূপকথা থামিয়ে তারা পৌঁছে যায় ফাইনালে।
এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম থেকেই ছন্দময় ফুটবল খেলে আসছিল নেদারল্যান্ডসের আয়াখস। তাদের তরুণ দল ইউরোপে রীতিমতো ঝড় তুলেছে। রিয়াল মাদ্রিদ এবং জুভেন্টাসকে টুর্নামেন্টে থেকে ছিটকে দিয়ে তারা আলোড়ন ফেলে দেয়। টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বাইরের মাঠে অ্যাওয়ে গোল করে ম্যাচ জিতেও ফেরে তারা।
আয়াক্স প্রথম লেগে টটেনহ্যামের মাঠ থেকে ১-০তে জিতে এসেছিল। বুধবার ছিল দ্বিতীয় লেগ। ঘরের মাঠে শুরু থেকেই প্রেসিং ফুটবল আয়াখসের। পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোল অধিনায়ক ডি লিখটের। বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান বাড়ান জিয়েচ। কিন্তু তখনও কোনো আয়াখস সমর্থক ভাবেননি দ্বিতীয়ার্ধে চিত্রটা সম্পূর্ণ বদলাতে চলেছে। টুর্নামেন্টে থেকে তারা ছিটকে যেতে চলেছেন।
দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত কামব্যাক লন্ডনের টটেনহ্যামের। ঘরোয়া লিগে তাদের শেষ চার প্রায় নিশ্চিত। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগকেই তারা যে পাখির চোখ করেছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্বিতীয় লগ্নে তারই প্রতিফলন। ব্রাজিলিয়ান লুকাসের হ্যাটট্রিকে ভর করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পৌঁছে গেল তাঁরা।
চার মিনিটের ব্যবধান দুটি গোল করে দলের মোমেনটাম অনেকটাই বাড়িয়ে দেন লুকাস। এহেন পরিস্থিতে দু'লেগ মিলিয়ে আয়াক্সের পক্ষে স্কোর ৩-২ ছিল। কিন্তু ফাইনালে যেতে হলে আরও একটি গোল দরকার ছিল টটেনহ্যামের।
আয়াখস সমর্থকরা যখন ধরেই নিয়েছেন তারা ফাইনাল পৌঁছে গিয়েছেন ঠিক তখনই স্টেডিয়ামে থাকা উপস্থিত দর্শকদের চুপ করিয়ে দেন মৌউরা। অতিরিক্ত সময়ের শেষ লগ্নে দলের হয়ে তৃতীয় এবং হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন তিনি। দু'লেগ মিলিয়ে ফল দাঁড়ায় ৩-৩। কিন্তু বেশি অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে ফাইনালে টটেনহ্যাম।
আগামী ১ জুন মাদ্রিদের ওয়ান্ডা মেট্রপলিটানোয় হবে লিভারপুলের ও টটেনহ্যামের মধ্যকার শিরোপার মীমাংসা। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো অল ইংলিশ ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে ফুটবলবিশ্ব। ২০০৭-০৮ আসরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি ফাইনাল খেলেছিল।