Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চীন সরকার জিনজিয়ান প্রদেশে ইসলামিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ মে ২০১৯, ০১:২৪ PM
আপডেট: ০৮ মে ২০১৯, ০১:২৪ PM

bdmorning Image Preview


এবার চীনের পশ্চিমের জিনজিয়ানের প্রদেশে কর্তৃপক্ষ ব্যাপক হারে ইসলামিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে চীন সরকার। এমন সংবাদ প্রকাশ করছে বিভিন্ন পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম।

সংবাদমাধ্যম গুলোতে প্রকাশিত সংবাদে আরো বলা হচ্ছে  জিনজিয়ানের প্রদেশে সরকারের তীব্র দমন-নিপীড়নের মধ্যে সেখানে বাস করছেন সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুর অধ্যুষিত প্রদেশটির মানুষ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিনের সোমবার জানায়, ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান ও বেলিংক্যাট ওয়েবসাইট স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে ৯১ ইসলামিক স্থাপনার অবস্থা পরীক্ষা করেছে। তারা দেখতে পায়, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩১টি মসজিদ ও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ মাজার ধ্বংস করা হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে ১৫টি স্থাপনা ‘সম্পূর্ণ বা প্রায় সম্পূর্ণ’ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে। অন্যান্য মসজিদ ও মাজারের শনাক্ত করতে পারার মতো গম্বুজ ও মিনার সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

অন্য নয়টি মসজিদের ভবনে সাধারণ মসজিদের কোনো চিহ্ন ছিল না, কিন্তু সেগুলোও গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানায় দ্য গার্ডিয়ান।

ধ্বংস করে ফেলা মুসলিম স্থাপনাগুলধ্যে রয়েছে আসিম মাজার এবং কারগিলিক মসজিদ। আসিম মাজার উইঘুর মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা এবং কারগিলিক মসজিদ ছিল অন্যতম বৃহৎ মসজিদ।

এছাড়াও হোতান এলাকার কাছে ১২০০ সালে নির্মিত ইউতিয়ান আইতিকা মসজিদও ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর দমন-নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে সারা বিশ্বের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে চীন।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ৮ থেকে ২০ লাখ মানুষকে চীনের বিভিন্ন বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে তুরকিচ মুসলিম, উইঘুর, কাজাখ কিরঘিজ ও অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষ।

চীন এসব বন্দিশালাকে ‘পুনঃশিক্ষা কেন্দ্র’ বলে দাবি করলেও অন্যরা এগুলোকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প হিসেবে অভিহিত করছে।

Bootstrap Image Preview