Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রোজায় প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় যা করবেন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ মে ২০১৯, ০৭:৩৩ PM
আপডেট: ০৭ মে ২০১৯, ০৭:৩৩ PM

bdmorning Image Preview


গরমে সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। শরীরে পানিশূন্যতার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতারে শরবতের সঙ্গে খেতে পারেন ইসুবগুলের ভুসি।

ইসুবগুলের ভুসি আপনার প্রস্রাব হলুদ ও জ্বালাপোড়া, ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, আমাশয় ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

ইসুবগুলের ভুসির রয়েছে বেশ স্বাস্থ্যসম্মত উপাদান, যা শরীরের জন্য উপকারী। তাই প্রতিদিনের ইফতারের আয়োজনে ইসুবগুলের ভুসি রাখতে পারেন শরবতে।

আসুন জেনে নেই রোজায় কেন খাবেন ইসুবগুলের ভুসি?

কোষ্ঠকাঠিন্য

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে ৫-১০ গ্রাম ইসুবগুল নিয়ে এক কাপ ঠাণ্ডা বা হালকা গরম পানিতে আধঘণ্টা ভিজিয়ে তাতে দু-তিন চামচ চিনি মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে বা রাতে শোয়ার আগে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

পাইলস

কোষ্ঠবদ্ধতা পাইলসের প্রধান কারণ। তাই পাইলসের রোগীদের নিত্যদিনের ওষুধ এই ইসুবগুল। প্রতি রাতে পানিতে এক টিপ ইসুবগুলের ভুসি দিয়ে খেয়ে শুতে যাওয়া অভ্যাস করলে উপকার পাওয়া যায়।

আমাশয়

যারা আমাশয়ে ভুগছেন, তাদের জন্যও ইসুবগুল ভালো। ইসুবগুল আমাশয়ের জীবাণু ধ্বংস করতে পারবে না, তবে বের করে দিতে পারবে। আমাশয়ের রোগীরা সকালে ও রাতে একবার শরবতের সঙ্গে খাবেন।

উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

কোলেস্টেরল ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতে চাইলে ইসুবগুলের ভুসি খান। পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটা এক দারুণ পথ্য।

ডায়েরিয়া

ডায়েরিয়া উপশমে বেশ উপকারে আসে ইসুবগুল ভুসি। এজন্য ৭-২০ গ্রাম ভুসি দিনে দুবার খাওয়া যেতে পারে।

প্রস্রাব হলুদ ও জ্বালাপোড়া

যে কোনো কারণে প্রস্রাব হলুদ হয়ে জ্বালাপোড়া হলে সকালে এক গ্লাস ও বিকালে এক গ্লাস শরবতের সঙ্গে ইসুবগুলের ভুসি খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া চলে যায়।

মাথা ব্যথা

যে কোনো কারণে মাথা ব্যথা রোগ হলে বা হাত-পা জ্বালাপোড়া হলে সকাল-বিকালে এক গ্লাস আখের গুড়ের শরবতের সঙ্গে ইসুবগুলের ভুসি মিশিয়ে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়।

Bootstrap Image Preview