Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নুসরাত হত্যা: কিলিং মিশনে অংশ নেয়াদের নিরাপত্তা দেন মামুন ও রানা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ মে ২০১৯, ১০:১৮ PM
আপডেট: ০৬ মে ২০১৯, ১০:২০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত নুসরাতের সহপাঠী ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। 

সোমবার (৬ মে) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল এসপি মো. ইকবাল জানান, মাদরাসার সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার সময় আসামী মামুন ও রানা মাদরাসার গেইট পাহারায় নিয়োজিত ছিল। নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার পর তাদের পাহারায় আসামীরা পালিয়ে যায়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার জবানবন্দিতে আসামীরা ঘটনার দিন তাদের নিজ নিজ দায়িত্বের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন।

২০ এপ্রিল রাঙামাটি টিঅ্যান্ডটি এলাকার একটি বাড়ি থেকে ইফতেখান হোসেন রানা ও কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে এমরান হোসেন মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গত ২ মে আসামী ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুনকে আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এমরান হোসেন মামুন সোনাগাজী পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরগণেশ গ্রামের প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে ও ইফতেখার উদ্দিন রানা সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঈমান আলী হাজী বাড়ির জামাল উদ্দিনের ছেলে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগিরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।

পরে তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা করেন। মামলার এজহারভুক্ত ৮ আসামিসহ এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Bootstrap Image Preview