Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বান্ধবির বাবার বিয়ে ঠেকাতে গিয়ে মার খেলেন ৬ জাবি শিক্ষার্থী, ঢাকার বাসে তুলে দিল পুলিশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ মে ২০১৯, ০৪:৪২ PM
আপডেট: ০৬ মে ২০১৯, ০৪:৪২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বন্ধুর বাবার বিয়ে ঠেকাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছয় শিক্ষার্থী। মারধরের পর তাদেরকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এ ঘটনা ঘটেছে।

ছয় শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছেন- জাবির বাংলা বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম, নাট্যতত্ব বিভাগের আরিফ মেহেদী, রিশা আইরিন, হৃদয়ন মাহফুজ, ক্যামেলিয়া শারমিন ও দিপংকর বড়ুয়া।

রাকিবুল হাসান গাজীপুরের মাহবুবুল হকের ছেলে, আরিফ মেহেদী বগুড়ার সান্তাহারের জালাল উদ্দিনের ছেলে, রেদোয়ান মাহফুজ ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার স্বপন মাহফুজের ছেলে, ক্যামেলিয়া চুঁড়া গাজীপুরের আব্দুর রহমানের মেয়ে, ঢাকার মিরপুরের কমল বড়ুয়ার ছেলে দিপংকর বড়ুয়া দিপ্ত এবং তাড়াশের সবুজপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের মেয়ে রিশা আইরিন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সবুজতারা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের মেয়ে রিশা আইরিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যতত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী। কয়েকদিন আগে তিনি বাড়িতে এসে জানতে পারেন তার বাবা দ্বিতীয বিয়ে করতে যাচ্ছেন। বিয়ে থামাতে রিশা তার বন্ধুদের সহযোগিতা চান। রিশার আহ্বানে সাড়া দিয়ে রবিবার (৫ মে) সন্ধ্যায় তার পাঁচ বন্ধু তাড়াশে আসেন। পরে রাতে রিশার বাবার সঙ্গে তারা কথা বলতে গেলে বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে।

এক পর্যায়ে রিশার বাবা উত্তেজিত হয়ে স্থানীয়দের ডেকে এনে রিশাসহ তার বন্ধুদের মারধর করেন। পরে রিশা ও তার বন্ধুদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ আজাদ (৭০) গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমার স্ত্রী নাজমুননাহার (৬০) পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শয্যাশায়ী। বর্তমানে আমি নিরুপায় হয়ে দ্বিতীয় বিয়ের চিন্তা করছি। বিষয়টি জানতে পেরে আমার মেয়ে তার বন্ধুদের ডেকে এনে আমাকে লাঞ্ছিত করে।

তবে রিশা জানান, তার বাবা অসুস্থ স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ খবর রাখতে যথেষ্ট উদাসীন। সম্প্রতি তিনি দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি নেন। এ অবস্থায় বাবাকে বোঝাতে রিশা তার বন্ধুদের ডেকে এনেছিলেন। কিন্তু তার বাবা তাকে ও বন্ধুদের মানুষ দিয়ে মারধর করে অন্যায়ভাবে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এদিকে এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সোমবার (৬ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় থেকে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতা হয় এবং শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে রিশাসহ তার পাঁচ বন্ধুকে ঢাকাগামী বাসে তুলে দেওয়া হয় বলে জানান তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।

Bootstrap Image Preview