তিন ম্যাচে লাওসের ১৮ গোলের ৮টিই করেছেন পে। পুরো নাম কেওটা পে। লাওসের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের একটি হ্যাটট্রিকও আছেন। চার গোল করেছেন সেমিফাইনালে কিরগিজস্তানের বিরুদ্ধে। শুক্রবারের বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের ফাইনালে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার নাম এখন এই পে।
বাংলাদেশ টুর্নামেন্টে গোল করেছে মোট ৭টি। সেখানে লাওসের কেওটা পে একাই করেছেন ৮টি। প্রতিপক্ষের সীমানায় পে যেন এক আতঙ্কের নাম। তো এই পে’কে আটকানোর কী পরিকল্পনা থাকছে বাংলাদেশের?
বৃহস্পতিবার ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সে প্রশ্নটা গেলো কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের দিকে। কোনো কোচ ম্যাচ নিয়ে তার বিশেষ কোনো পরিকল্পনার কথা ভর সমাজে প্রকাশ করবেন না। ছোটনও করেননি। তবে কেওটা পেসহ লাওসের ৩ ফুটবলার নিয়ে যে বিশেষ পরিকল্পনা বাংলাদেশ কোচের আছে সেটা বলেছেন।
পে দূর্বার। অন্য দুই জন কে? একজন অধিনায়ক আফাতসালা খেলেছেন আক্রমণভাগে। অন্যজন ডিফেন্ডার ইনথাফোনে। দুই জনই আগের তিন ম্যাচে দুটি করে গোল করেছেন। লাওস দলে আসলে গোল করার ফুটবলারের অভাব নেই। সেখানে বাংলাদেশকে প্রতি ম্যাচেই করতে হয় গোলের জন্য হা-পিত্যেশ। ডজন ডজন সুযোগ নষ্ট করে ৩ ম্যাচে গোল সর্বসাকুল্যে ৭টি।
পে কতটা বিপজ্জনক হতে পারেন বাংলাদেশের জন্য? এমন প্রশ্নের কৌশলী উত্তর, ‘সেটা দেখা যাবে মাঠে। আগেই কী করে বলবো।’ আর বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন একই রকম প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পে’র সঙ্গে যুক্ত করেছেন অন্য দুই জনের নাম।
‘ফাইনাল ঘিরে সব কোচেরই কিছু পরিকল্পনা থাকে। তার কিছু পরিকল্পনা অবশ্যই ‘বিশেষ’। আমারও ফাইনাল ঘিরে তেমন বিশেষ কিছু পরিকল্পনা আছে। যার মধ্যে কেবল পে-ই নয়, অনেক কিছুই আছে। লাওস দলে পে ছাড়াও আরো দুইজন ভালো ফুটবলার আছেন, একজন অধিনায়ক আফাতসালা, অন্যজন ডিফেন্ডার ইনথাফোনে। তাদের নিয়ে পরিকল্পনাতো থাকবেই। তবে পরিকল্পনাটা কী তা এখন বলছি না’- সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ।