Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুরের বাজার সয়লাব, ক্যান্সার ঝুঁকিতে সাধারণ ভোক্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ মে ২০১৯, ০৭:০৭ PM
আপডেট: ০২ মে ২০১৯, ০৭:০৭ PM

bdmorning Image Preview


দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৫ হাজার টন। যার মধ্যে শুধু রোজার মাসের চাহিদার পরিমাণ প্রায় ১৮ হাজার টন। এমন তথ্য কিছুদিন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন।

যার ফলে মাহে রমজান কেন্দ্র করে প্রতিবছর একাধিক অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মোনাফা অর্জনের লক্ষে  প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে বাজারে প্রবেশ করছে পচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর। আর বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলছেন এই খেজুর নিয়মিত খেলে ক্যান্সার মত মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা আছে সাধারণ ভোক্তাদের।

র‍্যার ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে কয়েক শ' কোটি টাকার কয়েক বছরের পুরনোসহ পচা ও কেমিক্যাল যুক্ত খেজুর জব্দ করেছে ।  কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে মনে করছেন ডাক্তার ও খাদ্যা বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, পুরানা পল্টন, নয়া পল্টন, কাকরাইল, নিউ মার্কেট, চকবাজার, মৌলবি বাজার, মহাখালি, মিরপুর থেকে শুরু করে অভিজাত এলাকার শুপার শপ গুলোতেও দেখা যায়, বিনা বাধাঁয় খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ খেঁজুর। যাতে ক্রেতা-বিক্রেতা বা সরকারি খাদ্য মাননিয়ন্ত্রক সংস্থার কোন নজরদারিই নেই।

সুপার শপ স্বপ্নের  এক কর্মতার সাথে কথা হলে নাম না প্রকাশের শর্ত দিয়ে বলেন, বিএসটিআই এর বাধ্যতামূলক মান যাচাই তালিকায় আমদানিকৃত খেজুর না থাকার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর আমরা অনেকটা ব্যধ্য হয়েই তাদের কাছ থেকে খেজুর নিচ্ছি। তবে এটা বলতে পারি আমারা অন্য দশটা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি যাচাই বাছাই করে পণ্য সংগ্রহ করছি বর্তমানে।

এবিষয়ে বিএসটিআই পর পর কয়দিন যোগাযোগ করা হলেও কথা বলার জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি।

পচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর খাওয়ার ফলে কেমন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে জানান জন্য খাদ্য ও পুষ্টি পরামর্শ কেন্দ্র এমএমডিসি'র বিশেষজ্ঞ মাসুমা আখতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , প্রথম দিকে  ডায়রিয়া ও বমি নিয়মিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু ভয়াভহতা আরো ভয়ঙ্কর হতে পারে। যেমন ধরেন দীর্ঘমেয়াদি জন্ডিস, লিভার ও খাদ্যনালিতে ক্যান্সার ।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম লস্কর জানান, আমরা বর্তমানে র‌্যাবকে সাথে নিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বাজারজাতকারীদের বিরোদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালন করছি। এছাড়া প্রতিটি জেলা পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। রমজানে আমাদের অভিযান আরো জোরালো হবে।

এছাড়া যে বা যারা আমদানিকারক নষ্ট ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর বাজারজাত করছে তাদের বিরোদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।  

Bootstrap Image Preview