বাঘা-রাজশাহী সড়কের মীরগঞ্জ মোড়ের ভানুকর এলাকায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বাস খাদে পড়ে নারীসহ তিনজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাঘা থেকে রাজশাহীগামী রজনীগন্ধা-সিরাজগঞ্জ-ব-০৫ নামের যাত্রীবাহী বাস মীরগঞ্জ মোড়ে ভটভটিকে ওভারটেক করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- বাঘা উপজেলার ছাতারী গ্রামের শমসের আলীর ছেলে আবু হানিফ (২৩), মনিগ্রাম বান্দাবটতলা গ্রামের মুনছার আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫) ও হরিরামপুর দাঁড়পাড়া গ্রামের নিয়াত আলীর স্ত্রী বাদলা বেগম (৪২)।
আহতরা হলেন- ছাতারী গ্রামের সজল আলী, নারায়ণপুর গ্রামের কার্তক হালদার, চকনারায়ণপুর গ্রামের প্রসান্ত কুমার, চকছাতারী গ্রামের শরিফুল ইসলাম, হেলালপুর গ্রামের লালন উদ্দিন, চকছাতারী গ্রামের জিল্লুর রহমান, লালপুর ঘোষপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন। তাদের বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও ১৩ যাত্রীকে চারঘাট ও রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। বাসচালক বাঘা বাসস্ট্যান্ড এলাকার নুরুল হক নামের এক যুবক। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
বাসের যাত্রী মনিহারপুর গ্রামের রাহাদুল ইসলাম বলেন, একটি ভটভটিকে ওভারটেক করার সময় এ ঘটনাটি ঘটে। তবে অল্পের জন্য আমি বেঁচে গেছি।
বাঘা স্ট্যান্ডের বাস মাস্টার আবদুল হক বলেন, বাসটি ৩৫ যাত্রী নিয়ে সকাল ৫টা ৪৫ মিটিটে বাঘা বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হয়। সকাল ৬টার দিকে মনিগ্রাম ইউনিয়নের মীরগঞ্জ মোড়ের ভানুকর এলাকায় পৌঁছলে ভটভটিকে ওভারটেক করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। মনিগ্রাম ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা জানার পরপর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।