বাঙালি সংস্কৃতির আবহে ২৮ এপ্রিল ২০১৯ অপরাহ্নে, বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারা স্থানীয় মোনেক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে “পহেলা বৈশাখ”-১৪২৬ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তুরস্কে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিক, সামরিক উপদেষ্টা, তুরস্কের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ ও প্রেসের প্রতিনিধিসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী’র আহ্বানে আমন্ত্রিত অতিথি, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং দূতবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য “মঙ্গল শোভাযাত্রা” বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
“পহেলা বৈশাখ” উদযাপন এবং এ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তুরস্কে নিয়োজিত বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ ও তুরস্কের জনসাধারণের কাছে বৈচিত্রময় বাঙালি সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা। এ লক্ষ্যে দূতাবাস দেশি-বিদেশি শিশুশিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। ঢাকা থেকে আগত বাংলাদেশ শিশু একাডেমির ১৬ জন, দূতাবাসের ২জন শিশুশিল্পী এবং তুরস্কের ১১ জন শিল্পী সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন দূতাবাস উক্ত হোটেলের লবিতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পটভূমি, বর্ণময় পহেলা বৈশাখ এবং চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণ কর্মসূচীর ওপর একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী তাঁর সংক্ষিপ্ত সমাপনী বক্তব্যে বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ উৎসবকে বাঙালি সংস্কৃতির হাজার বছরের ঐতিহ্য হিসেবে বিবৃত করেন। বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালির প্রাণের উৎসব এবং এ উৎসব বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষর মধ্যে এক ধরনের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
সমৃদ্ধশালী বাঙালি ঐতিহ্যকে তুরেস্কর জনসাধারণ ও বিশ্ববাসীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারা নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে মর্মে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত বাংলা নববর্ষ “পহেলা বৈশাখ”-১৪২৬ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আগত সকল বিদেশি অতিথি, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং উপস্থিত সকলের প্রতি রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন।