সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশীপে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধূলায় হার-জিত থাকবেই। এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। আজ হারলে কাল জিতব— এই কথা মনে রাখতে হবে। জাতির পিতা নিজেকে সেভাবেই গড়ে তুলেছিলেন, সবক্ষেত্রেই হার না মানা একটি মনোভাব ছিল তার। যে কারণে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম।
এসময় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এই প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিনন্দন জানান তিনি। এর পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাকি দলগুলোকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রতিযোগিতার আয়োজক ও সংগঠন শিক্ষকদেরও ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
ক্রীড়া ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের যুক্ত থাকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন, আমার দাদা ফুটবল খেলতেন। বাবাও ফুটবল খেলতেন। আমার দুই ভাই, শেখ কামাল ও শেখ জামাল— তারা দু’জনেই খেলাধূলা পছন্দ করত। কামালের স্ত্রী সুলতানা, সে খেলোয়াড় হিসেবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্লু’ ছিল। জামালের স্ত্রী, সেও খেলাধূলায় ছিল। আমাদের পুরো পরিবারই খেলাধূলায় সম্পৃক্ত ছিলাম। এসময় তিনি আবাহনী ক্রীড়াচক্র গড়ে তোলার প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেন।
খেলাধূলায় আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর অন্যান্য খাতের মতো খেলাধূলাতেও নজর দেই। তবে ওই মেয়াদে অনেক কাজ আমরা শুরু করেও শেষ করতে পারিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আমরা আবার সেগুলো শেষ করেছি। আমাদের প্রচেষ্টা ছিল শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি— প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের শিশু থেকে তরুণ, যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করা।
তিনি আরো বলেন, আমরা ক্রীড়ার সব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা চালু করেছি। প্রাথমিকের মেয়েদের জন্য আমরা বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করছি। প্রাথমিক ছেলেদের জন্য রয়েছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এছাড়া এই বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। এখানে যারা যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।