ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌর এলাকার নওদাগ্রামে মাদকাসক্ত ও মানসিক বিকারগ্রস্ত যুবক ইমরানের (২৬) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মা ও নানী নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত ভোররাতে যশোর সদর হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলো- ওই গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের মেয়ে মর্জিনা খাতুন ও স্ত্রী শামসুন্নাহার (৭০)।
মহেশপুর থানার ওসি রাশেদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে ইমরান তার মায়ের কাছে টাকা চাই। টাকা না দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে মা ও নানিকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, মহেশপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের কারিগরী বিষয়ের শিক্ষক মর্জিনা বেগম তার সন্তান ইমরান ও তার মা শামসুন্নাহারকে নিয়ে বসবাস করতেন। ছেলে ইমরান ছিল মানসিক রোগী। বিভিন্ন সময় সে তার মা ও নানীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো।
এর আগেও ২০০৪ সালে যখন তার মায়ের ডিভোর্স হয় সে বছর সে তার দাদাকে মারধোর করে। পরবর্তীতে তাকে দুই দফা পাবনা মানষিক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার দিন রাত ২টার দিকে চিৎকার শুনে লোকজন বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান দুই জনই ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। ইমরান ওই সময়েই পালিয়ে যায়।
এ দিকে এলাকাবাসী বলছে, ইমরান মাদকাসক্ত। টাকার জন্য প্রায়ই তার মাকে মারধর করতো। রাতেও তার মায়ের কাছে নেশার জন্য টাকা চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে ইমরান।