Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গাইবান্ধায় গ্রামবাসীদের উদ্যোগেই তৈরি হচ্ছে ‘কাঠের সাঁকো’

ফরহাদ আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:১০ PM
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:১০ PM

bdmorning Image Preview


গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের উত্তর নারায়নপুর বেকাটারি গ্রামে ঘাঘট নদীর উপর গ্রামবাসীর উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে ২৪০ ফুট দীর্ঘ একটি কাঠের সাঁকো। এই সাঁকো নির্মাণে উপকরণ, শ্রম ও অর্থ দিচ্ছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরাই। তবে এ সাঁকো নির্মাণে অর্থ সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নদীতে ইউক্যালিপটাস গাছ দিয়ে খুঁটি দেওয়া হয়েছে। সাঁকোতে কাঠ দিয়ে তক্তা বিছানোর উপযোগী ও অন্যান্য কাজগুলো করছেন মিস্ত্রীরা। আর এসব কাজে সহযোগিতা করছেন ওই গ্রামের মানুষজন। গত ১৫ দিন ধরেই চলছে এ কাজ। সাঁকো তৈরির এই কাজে গাছ ও সামর্থমতো টাকা দিয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা।

সাঁকো তৈরির উদ্যোক্তা আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের গ্রামের ১০৩টি পরিবারের পাঁচ শতাধীক মানুষকে তিন কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা ঘুরে শহরে যাতায়াত করতে হয়। অথচ এই সাঁকোটি তৈরি হলে স্কুলপ পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ্য মানুষ ও বৃদ্ধদের অনেক উপকার হবে। সাঁকো তৈরিতে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হলেও গত ছয় মাস ধরে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতিদিন মিস্ত্রীদের তিন হাজার টাকা বিল দিতে হচ্ছে। আমাদের আরও টাকার দরকার।

বল্লমঝাড়ের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য লুমা বেগম বলেন, সাঁকোটি তৈরি হলে পাশ্ববর্তী কুপতলা ইউনিয়নের কিশামত বালুয়া গ্রামের মানুষও চলাচল করবে এই সাঁকোর উপর দিয়ে। এ দুই ইউনিয়নের ওই দুটি গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের গ্রামগুলোর সহস্রাধিক মানুষ ব্যবহার করবে কাঠের সাঁকোটি। এখানে সাঁকোটির প্রয়োজন আছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এ ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা করতে পারবো। আমাদেরকে একটি আবেদন দিলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview