দেশের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর টাওয়ার থেকে নিঃসরণ করা ক্ষতিকর রেডিয়েশনের বিষয়ে সমীক্ষা করে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি এ বিষয়ে ১১ দফা নির্দেশনাও দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, কারাগার, খেলার মাঠ ও ঘন জনবসতিপূর্ণ জায়গা থেকে ক্ষতিকর রেডিয়েশন ছড়ানো টাওয়ার অপসারণের আদেশ দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত। এছাড়া মামলাটি চলমান থাকবে বলেও জানান আদালত। বৃহস্পতিবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এসব নির্দেশনা দেন।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খোন্দকার রেজা-ই-রাকিব। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, রায়ে আদালত ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে ওইসব বিষয়ে সমীক্ষা (ফিজিবিলিটি স্টাডি) করে চার মাসের মধ্যে আদালতে কমপ্লাইন্স রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর মধ্যে রয়েছে- মোবাইল ফোন টাওয়ারে বিকিরণ মাত্রা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ১০ ভাগের একভাগে কমিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, ২০১২ সালে একুশে টেলিভিশনের তৎকালীন প্ল্যানিং এডিটর ও বিশেষ প্রতিনিধি হারুন উর রশীদের করা ‘একুশের চোখ’ অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোন টাওয়ারের রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এরপর এ ধরনের প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করে।