রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ছাত্রীসংস্থার সদস্য কর্তৃক বাকবিতণ্ডার ঘটনায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে হলের সামনে জড় হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাত ৩টার পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে তাদের শান্ত করেন এবং বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, ছাত্রীসংস্থার সদস্যরা ওই হলে সক্রিয়। এ বিষয়ে একাধিকবার হল প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি।
তবে হল প্রশাসন জানায়, টিভি রুমে সিট সংক্রান্ত বিষয়ে সিনিয়র-জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে।
হল সূত্রে জানা গেছে, হলের গণরুমে জায়গা সংকুলান হওয়ায় প্রাধ্যক্ষ কয়েকজন ছাত্রীর জন্য টেলিভিশন রুমে সিটের ব্যবস্থা করেন। ফলে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের টেলিভিশন দেখা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। এরই প্রেক্ষিতে তারা টিভি রুমের ছাত্রীদের গণরুমে ফিরে যেতে বলেন। ওই সময় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুকে বিষয়টি জানায়। এতে রাতেই ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী হলের সামনে জড় হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ছাত্রলীগ দাবি করেন, ওই হলে ছাত্রীসংস্থার সদস্যরা গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
হলের একাধিক ছাত্রী জানান, ওই ছাত্রীকে হলে সিট পেতে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু সহযোগিতা করেছেন।
ফয়সাল আহমেদ রুনু দাবি করে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি হলে প্রায়ই ছাত্রীসংস্থা মিটিং করে এবং দীর্ঘদিন থেকে তারা গোপনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীকে রাতেই হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিক্ষোভ থেকে প্রশাসনের কাছে তিনি ছাত্রীসংস্থার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, হলে সিনিয়র-জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। আমি উভয়পক্ষের কথা শুনে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি। আর হলে সিটের সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেব।