আমরা আগে আমাদের চাহিদা মেটানোর জন্য শিক্ষা গ্রহণ করেছি। এখন এটা আমরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে চিন্তা করবো তাই শিক্ষার আধুনিকায়নে বেশি বাজেট দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের নীতিগত দিক সম্পর্কে মতবিনিময় এর উদ্দেশ্যে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উপযোগী করে শিক্ষাব্যবস্থাকে সাজানো হবে। যেমন রোবটিক্স এনার্জি ছাড়াও অন্য দেশ চাহিদা রয়েছে সে অনুপাতে আমরা কাজ করবো। শিক্ষা খাতে আগামী ৫০ বছরের জন্য কি প্রয়োজন সে বিষয়টি আমরা পরিকল্পনা করবো।
তিনি বলেন, আমি একেবারে প্রান্তিক মানুষ। প্রান্ত থেকে উঠে এসেছি অনেক কষ্ট করে। অনেক সময় স্কুলে বেতন দিতে পারতাম না। এতে স্কুল থেকে আমার নাম অনেকবার কাটা হয়েছে। গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে অর্থ দিয়ে আমার ফরম ফিলাপ করে দিয়েছে। আমি কোনদিন তাদের ভুলবো না তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এবং তাদের আমি ভালোবাসি।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা আমাকে বিশ্বাস করেন ঠকবেন না। দেশের জন্য ক্ষতি হয় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় এমন কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। দেশের মানুষের জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে।ধনী গরিবের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয় এমন ব্যবস্থা থেকে আমরা বেরিয়ে আসবো আয় বৈষম্য কমিয়ে আনবো।
মুস্তফা কামাল বলেন, ক্ষমতাধররা ভ্যাট-ট্যাক্স দিচ্ছেন না। দেশের চার কোটি মানুষ ভোট দেওয়ার ক্ষমতা রাখলেও মাত্র ১৬ লাখ মানুষ ভ্যাট ট্যাক্স দিচ্ছেন। আমরা সবার কাছ থেকে সমানভাবে ভ্যাট ট্যাক্স আদায় করবো। তবে কাউকে কষ্ট দেওয়া হবে না।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরি, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, মানব্জমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রমুখ