সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)‘র দেওয়া কৃত্রিম পা সংযোজনের ৭ দিন পর রাসেল পুরোপুরি হাটতে পারছেন। সকল অনুশীলন ৭ দিনে শেষ করে তিনি আজ বাড়ি ফিরবেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে সিআরপির অঙ্গ সংযোজন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ শফিক তার কৃত্রিম পা টি সংযোজন করেন।
সিআরপির অঙ্গ সংযোজন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ শফিক বিডিমর্নিংকে বলেন, রাসেল সরকার চার সপ্তাহের অনুশীলন মাত্র এক সপ্তাহে শেষ করেছেন। তিনি এখন সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক মানুষের মত চলাফেরা করতে পারছেন। রাসেল যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন সিআরপির পক্ষ থেকে তার পায়ের যাবতীয় চিকিৎসা ফ্রি প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে একদিন আগে সিআরপিকে অবিহিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রাসেল যদি ব্যবসা-বাণিজ্য করেন সে ক্ষেত্রেও তাকে আর্থিক সহযোগিতা করবে সিআরপি।
এ ব্যাপারে রাসেল বিডিমর্নিংকে বলেন, আমি সিআরপির কাছে কৃতজ্ঞ। সিআরপি ছাড়া মনে হয় আমার আর হাটা-চলা সম্ভব হতো না। ধন্যবাদ সিআরপি ও এই সংস্থার সকল কর্মকর্তা কর্মচারিকে। তিনি বলেন, গ্রীনলাইন সম্পর্কে আর কি বলবো, তারা আমাকে তো পঙ্গু করে দিয়েছে। তাদের কাছে আমার খোঁজখবর রাখার দাবি জানাই। সিআরপির মতো যেন তারাও আমার পাশে থাকে।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রাসেল সরকার রাজধানীর আদাবর এলাকায় স্থানীয় একটি 'রেন্ট-এ-কার' প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার চালাতেন। ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসের চালক ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেলকে চাপা দেয়। এতে তার বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।