Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘বে-টার্মিনাল হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা তিনগুণ বাড়বে’

বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩৮ PM
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩৮ PM

bdmorning Image Preview


চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে বে-টার্মিনালে ১৫শ’ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস, ১২২৫ ও ৮শ’ মিটারের ২টি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ইয়ার্ড, ট্রাক টার্মিনাল ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বে-টার্মিনাল হলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে তিনগুণ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে ১৩২তম বন্দর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, প্রকল্প এলাকার ৬৭ একর জমি বন্দরকে বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর বিপরীতে ৩৬৪ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে ৮০৩ একর খাস জমি বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে জোয়ারের সময় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজ ভিড়তে পারে। বে-টার্মিনালে এর চেয়ে বেশি ড্রাফটের বড় বড় জাহাজ জোয়ারের অপেক্ষা ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা ভিড়তে পারবে।

তিনি বলেন, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, লালদিয়া টার্মিনাল, কর্ণফুলী কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি মিরসরাই-সীতাকুন্ড-ফেনী নিয়ে দেশের বৃহত্তম শিল্প নগরকে সাপোর্ট দিতে সীতাকুণ্ডে আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছে।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৭ সালে জাহাজের সর্বোচ্চ গড় অবস্থানকাল ৭-৮ দিন পর্যন্ত ছিল। এরপর কি গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযোজনের ফলে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে গতি বেড়েছে। কনটেইনার জাহাজকে কম সময় জেটিতে অবস্থান করতে হচ্ছে। বহির্নোঙরে আসার পর সরাসরি জেটিতে ভিড়ার রেকর্ডও হয়েছে। সাধারণ পণ্যের জাহাজ শূন্য থাকায় সেখানেও কনটেইনার জাহাজ ভিড়ানো হচ্ছে। ফলে ১২-১৪টি কনটেইনার জাহাজ একসঙ্গে হ্যান্ডলিং সম্ভব হচ্ছে। ২০১৭ সালে বন্দরে জাহাজ আসে ৩ হাজার ৩৭০টি, ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৪৭টি। জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় কমার সঙ্গে সঙ্গে ইয়ার্ডে কনটেইনার ডুয়েল টাইম কমে এসেছে। আমদানিকারকদের এখন সপ্তাহজুড়ে পণ্য হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ২০ ফুট দীর্ঘ ২৬ লাখ ৬৭ হাজার কনটেইনার হ্যান্ডলিং করলেও ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ লাখ ৩ হাজার, প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ। কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিসংখ্যান বন্দরের ৩০ বছর মেয়াদি প্রক্ষাপণ ছাড়িয়ে গেছে। কর্ণফুলীর ড্রেজিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত সেপ্টেম্বরে নতুন উদ্যমে কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ৪২ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের এ প্রকল্পের কাজ করছে। এতে বন্দরের খরচ ২৪২ কোটি টাকা। ৪ বছরে ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর খন্দকার আকতার হোসেন, সচিব মো. ওমর ফারুকসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ২৫ এপ্রিল বন্দরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বন্দর দিবস উদযাপন করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

Bootstrap Image Preview