বদলে গিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের পৃথিবী। এখন আর নেই অর্থের অভাব নেই। পরিবার পরিজনদের নিয়ে সুখেই আছেন জাতীয় দলের এই ডান হাতি অফ- স্পিনার।
কিন্তু সুখে থাকলেও মিরাজ ভুলেনি সেই কষ্টের দিনের কথা। খুব সাধারন পরিবার থেকে কিভাবে বাঁধা পেরিয়ে এতো এসেছেন সেটা মিরাজের থেকে আর কেউ ভালো জানে না।
ছোট বেলা থেকে কষ্টের মাঝে বড় হয়েছেন বলে সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি কাজ করবেন শিশু অধিকার নিয়ে।
আজ আনুষ্ঠানিকভাবে মিরাজকে ‘শিশু অধিকার দূত’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনিসেফ।
শিশুদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে বেশ খুশি মিরাজ। খুশির এই দিনে মিরাজের মনে পড়ে গেল কষ্টের শৈশবের কথা, ‘ক্রিকেট যখন শুরু করেছি, আপনারা জানেন নিশ্চয়ই, অনেক কষ্ট করে এগোতে হয়েছে। অনেক বাধা-প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছি। কত যে সংগ্রাম করতে হয়েছে জীবনে! খুব সাধারণ পরিবার থেকে বেড়ে উঠেছি। বুঝতে পারি, অনুভব করতে পারি, সাধারণ একটা পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা একটা শিশুর সামনে কত প্রতিবন্ধকতা থাকে। ওপরে যেতে হলে কত বাধা থাকে। আমার খুব ভালো লাগছে শিশুদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে। আশা করি নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিতে পারব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে।’
তবে মিরাজকে মিরাজকে এখনই সংস্থাটির শুভেচ্ছাদূত বলা যাবে না। বলতে হবে শিশু অধিকার দূত। এই ভাবে কাজ করার দুই এক বছর পরে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হবেন মিরাজ।