নওগাঁর রাণীনগরে বাকপ্রতিবন্ধী যুবতীকে বিস্কুট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও আসামি গোবিন্দ চন্দ্র সুটকাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ দিকে আসামি গোবিন্দ চন্দ্র সুটকা বর্তমানে পালাতক থাকায় ও তার পরিবার এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন প্রতিবন্ধি যুবতীর পরিবার।
জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা পালপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল চন্দ্রের ছেলে গোবিন্দ চন্দ্র ওরফে সুটকা গত ১০ এপ্রিল সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে বিস্কুট খাওয়ানোর প্রলোভন দিয়ে কৌশলে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। প্রতিবন্ধি ওই যুবতি বাড়িতে এসে তার মাকে কিছুটা ইশারা ইঙ্গিতে তাকে ধর্ষণের কথা বলে।
ঘটনাটি গ্রামে জানাজানি হলে ওইদিন রাতে ও পরদিন ১১ এপ্রিল রাতে আতাইকুলা গ্রামে কয়েক দফা শালিস-বৈঠকের মাধ্যমে এলাকার কতিপয় মোড়লরা নগদ ২ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে আসামিকে কৌশলে পালিয়ে যেতে সহয়তা করে।
এ ঘটনায় প্রতিবন্ধীর বাবা বাদী হয়ে গত ১২ এপ্রিল গোবিন্দ চন্দ্র ওরফে সুটকাকে আসামি করে রাণীনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের দিনেই যুবতির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
এ ব্যাপারে বাকপ্রতিবন্ধী যুবতীর মা বলেন, ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও আসামি সুটকাকে গ্রেফতার করতে পারেনি রাণীনগর থানা পুলিশ। আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বলে তিনি জানান।
রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আসামি দেশের যে প্রান্তেই থাক না কেন সন্ধান পাওয়া মাত্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে। এ ছাড়া সুষ্ঠু বিচারের জন্য যতটুকু আইনি সহায়তা প্রয়োজন আমাদের পক্ষ থেকে তা করা হবে।