Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শরবত খাওয়াতে চাওয়া সেই মিজানুরকে হুমকির অভিযোগ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৫৬ PM
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:০১ PM

bdmorning Image Preview


ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে ওয়াসার পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে দেয়া মিজানুর রহমানকে ওয়াসার কর্মকর্তারা হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ বুধবার দুপুরে ওয়াসার কয়েকজন কর্মকর্তা তার বাড়িতে গিয়ে তাকে শাসিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

হুমকি প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওয়াসার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ নওয়াজ আলীর নেতৃত্বে ৫-৬ জন আমাকে না বলে বাসায় ঢুকে পড়ে। আমি তখন বাসায় ছিলাম না। ওয়াসার কর্মকর্তারা আমার স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে আমার পূর্ব জুরাইনের ১৭৯৬ নম্বর হাজি খোরশেদ আলী সরদার রোডের বাড়িতে ঢুকে যান। সংবাদ পেয়ে বাসায় গেলে তারা আক্রমণাত্মকভাবে আমাদের প্রশ্ন করতে থাকেন। বলেন, “আমরা নাকি ওয়াসার পানি নিয়ে নাটক করছি।” আমাদের কথোপকথন ভিডিও করেন তারা। একপর্যায়ে আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন।’

তবে হুমকির বিষয়ে লিখিত কিংবা মৌখিকভাবে কদমতলী থানা পুলিশকে কিছু জানাননি মিজানুর রহমান।

এর আগে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান ওয়াসার পানি ‘শতভাগ বিশুদ্ধ’ বলে দাবি করেন। এই বক্তব্যের পর মঙ্গল বার রাজধানীর জুরাইন এলাকার কয়েকজন ওয়াসার পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে ওয়াসার এমডিকে খাওয়াতে আসেন। কিন্তু পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধার মুখে শরবত নিয়ে তারা ওয়াসা ভবনে ঢুকতে পারেননি। পুলিশ তাদের জানিয়েছেন, এমডি সাহেব অফিসে নেই। এরপর জুরাইনের কয়েকজন ওয়াসা ভবনের সিঁড়িতে বসে পড়েন। তাদের সামনেই রাখা ছিল কাচের জগে ওয়াসার কলের পানি, লেবু আর চিনি।

শরবত নিয়ে ওয়াসার এমডির অপেক্ষায় থাকা মিজানুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুরাইন এলাকায় ওয়াসার পাইপ ৪০ বছর আগের। এই পানি আমরা খাই না। খাওয়ার উপযোগী না। বাধ্য ও নিরুপায় হয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করি।’ কাচের জগে করে নিজের এলাকা আনা পানি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা মাঝারি ধরনের। এর থেকে খারাপ পানিও পাই।’

মিজানুর বলেন, ‘নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য ২০১২ সালে সাড়ে তিন হাজার মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ওয়াসার এমডিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাই তিনি নেননি। আমাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছিলেন। এখন তিনি কীভাবে বললেন, ওয়াসার পানি বিশুদ্ধ! আমরা ক্ষুব্ধ। উনার পানি উনাকে খাওয়াতে এসেছি। শতভাগ সুপেয় পানির কথা অসত্য। এই কথার জন্য উনাকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং পদত্যাগ করতে হবে।’

মিজানুর বলেন, এমডিকে ওয়াসার পানির শরবত না খাওয়ানো পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করবেন। আর সুপেয় পানি না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ওয়াসার পানির বিল দেবেন না।

ওয়াসার এমডির প্রতিনিধি হয়ে ঢাকা ওয়াসার পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিন প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ওয়াসার পানি বিশুদ্ধ, পানিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে কোথাও যদি ময়লা পানি আসে, তা পাইপলাইনের জন্য। সাংবাদিকেরা তখন জানতে চান, পাইপলাইন পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার? ওয়াসার এই প্রতিনিধি জবাবে বলেন, সে দায় ওয়াসার। তারা সব সময় জানতে পারেন না কোথায় কী সমস্যা আছে। তিনি নগরবাসীকে তা জানানোর অনুরোধ করেন।

Bootstrap Image Preview