তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব ছাড়া সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা সব খেলোয়াড়ই খেলেছেন।
এর মধ্যে মাশরাফি বিন মর্তুজা, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, আবু জায়েদ রাহীরা অনেকগুলো ম্যাচই খেলেছেন। আর ইনজুরি আক্রান্ত মোস্তাফিজুর রহমান (১ ম্যাচে ৩ উইকেট) আর রুবেল হোসেন (৬ ম্যাচে ৭ উইকেট) হাতে গোনা কিছু ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন।
বিশ্বকাপ দলে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন ১৬ ম্যাচের সবকটিতেই খেলেছেন। সৌম্য সরকার খেলেছেন ১৩টি, সাব্বির রহমান ১৪টি, মোহাম্মদ মিঠুন ১০টি আর লিটন দাস খেলেছেন ৮টি ম্যাচ।
১৩ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরিতে ৫১১ রান তুলে সৌম্য আছেন ১২ নাম্বারে, মোসাদ্দেক ১৬ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৪৮৮ রান। আবাহনী অধিনায়ক শেষ করেছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের মধ্যে ১৪ নাম্বারে থেকে।
এছাড়া মোহাম্মদ মিঠুন ১০ ম্যাচে ৩২২, সাব্বির রহমান ১৪ ম্যাচে ৩১৭, লিটন দাস ৮ ম্যাচে করেছেন ২৮৭ রান।
বোলিংয়ে জাতীয় দলের তারকাদের মধ্যে সেরা পাঁচে আছেন কেবল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১৩ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়েছেন আবাহনীর এই পেসার। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ২ বার।
আট নাম্বারে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ১৪ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়েছেন আবাহনী পেসার। পাঁচ উইকেট পেয়েছেন একবার। এছাড়া সৌম্য সরকার ১৩ ম্যাচে ১৩ উইকেট, মোসাদ্দেক হোসেন ১৬ ম্যাচে ১২ উইকেট, আবু জায়েদ রাহী ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ১২ উইকেট।
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাইফ। ৬ ম্যাচে ৬২.৬১ গড়ে ৩ সেঞ্চুরিসহ ৮১৪ রান করেছেন।
এছাড়াও ১৬ ম্যাচ খেলে ৩৮ উইকেট নিয়েছেন ফরহাদ রেজা । মাত্র ৪.৫৩ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন তিনি। ৪০ রান খরচায় ৫ উইকেট এবারের আসরে তাঁর সর্বোচ্চ বোলিং ফিগার।
সদ্য শেষ এই এই টুর্নামেন্টের সেরা উইকেট শিকার ও সেরা রানের তালিকায় থাকা কেউই নেই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে। এক মাত্র জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন শুধু সাইফউদ্দীন। ১৩ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে তৃতীয়।