Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘জিন তাড়াতে’ মেয়েদের সাথে সেক্স করতাম: পিয়ার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:১৯ PM
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:১৯ PM

bdmorning Image Preview


নিজের লোকদের কখনো ভিখারি কখনো রোগী সাজিয়ে সহায়তা হিসেবে মোটা অংকের টাকা তুলে দিয়ে সেই ভিডিও ইউটিউব চ্যানেল এএইচ পিতে আপ করে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া কথিত ‘পীর’ আহসান হাবিব পেয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।

সোমবার আহসান হাবিব পেয়ারের বিরুদ্ধে জিন ও ভূত তাড়ানোর নামে তরুণীদের সঙ্গে পর্নো ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা করার অভিযোগে করা মামলায় চার্জ শিট দাখিল করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান।

তিনি জানান, সম্প্রতি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে কাউন্টার টেররিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উপপরিদর্শক (এসআই) সজীবুজ্জামান পর্নোগ্রাফি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে আহসান হাবিব পেয়ারের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকের আদালতে পেয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

জবানবন্দিতে সে জানায়, ‘২০১০ সাল থেকে আমি ঢাকায় থাকি। তখন আমি জিন তাড়ানোর তাবিজ বিক্রি করতাম। পরে টাকা আয়ের নতুন বুদ্ধি বের করি। এএইচপি (ahp) নামের ভুয়া টিভি চ্যানেল তৈরি করে বিভিন্ন রিপোর্ট বানাতাম আর তাতে দেখাতাম গরিব অসহায় ও অসুস্থ ব্যক্তির মাঝে টাকা বিতরণ করছি। বিনিময়ে সারাদেশ ও বিদেশ থেকে আমার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট এবং অনেকগুলো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনেক টাকা রোজগার করতাম। জিন তাড়ানোর নামে তাবিজ নিতে যেসব মেয়েরা কাছে আসত আমি তাদের সাথে সেক্স করতাম এবং গোপনে তা ভিডিও করে ইউটিউবে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মেয়েদের থেকে টাকা আদায় করতাম। তাদের মধ্যে একজন হতে চার লাখ এবং অপর একজনের কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা আদায় করি। এছাড়া অন্য মেয়েদের থেকেও টাকা আদায় করি।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েকজন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ সালের ১ আগস্ট রাজধানীর খিলগাঁও থেকে ভণ্ডপীর আহসান হাবিব পিয়ারকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। ওইদিনই তার বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমের সহকারী উপ-পরিদর্শক লুৎফর রহমান।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ আগস্ট ঢাকার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত পিয়ারের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মাঈন উদ্দিন সিদ্দিকীর আদালতে পিয়ার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

Bootstrap Image Preview