১১ দফা দাবিতে সাভারের রানা প্লাজায় দ্বিতীয় দিনের মত অনশনে রানা প্লাজা ধসে আহত সেই শ্রমিক মাহমুদুল হাসান হৃদয়।
অনশনের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রানা প্লাজার সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তিনি। এর আগে, সোমবার বিকেলে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে ১১ দফা দাবি সম্বলিত ব্যানার টানিয়ে অনশনে বসেন তিনি। এসময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ারও কথা জানিয়েছেন তিনি।
ব্যানারে উল্লেখিত দাবী সমূহ হচ্ছে, রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রত্যেককে ৪৮ লাখ টাকা দিতে হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, আজীবন চিকিৎসা প্রদান, ঘটনার দিনটিকে শোক দিবস ঘোষণা, হতাহত ও নিখোঁজ পরিবারের শিশুদের লেখাপড়া নিশ্চিত, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, আহত উদ্ধারকর্মীদের চিকিৎসা, স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, হতাহত পরিবারের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
অনশনরত হৃদয় জানান, রানা প্লাজার ৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি নিজ উদ্যোগেই ধসে পরা স্মৃতি বিজড়িত ভবনের সামনে অনশনে বসেছেন। তবে যতদিন পর্যন্ত তার ১১ দফা দাবি পূরণ না হয় তিনি এই অনশন চালিয়ে যাবেন। আর যদি কেউ তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অনশনে বসতে চান তাহলে এতে তার কোন বাঁধা নেই। হৃদয় বলেন, অনশনের দুইদিন হলেও এখন পর্যন্ত সরকার পক্ষের কেউ খোঁজ নেন নি। আমি ধিরে ধিরে অসুস্থ হয়ে পরছি। জীবন থাকা পর্যন্তু আমি এখানেই বসে থাকবো।
উল্লেখ্য, অনশনরত মাহমুদুল হাসান হৃদয় (৩২) রানা প্লাজার অষ্টম তলায় নিউ স্টাইল লিমিটেডে কাজ করতেন। বর্তমানে একটি ফার্মেসির দোকান চালিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করছেন।